আন্তর্জাতিকদেশনিউজ

উঠে গেল শ্রমিকদের কর্মবিরতি, ফের সীমান্ত বাণিজ্য শুরু পেট্রোপোল-বেনোপোলে

×
Advertisement

কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন শ্রমিকরা (Labour)। তার জেরেই রবিবারের (Sunday)মত সোমবারও (Monday) আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল ভারত (India) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে। কুলিদের লাগেজ বহন করতে দিতে হবে, ট্রাকচালক ও খালাসিরা পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের  বেনাপোলে যাওয়ার পর একইদিনে ফেরার অনুমতি দিতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। করোনাকালে (Coronavirus) একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে এর আগেও রাস্তা অবরোধ থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন পেট্রাপোলের কুলি, ট্রাকের চালক-খালাসি এবং স্থলবন্দরের নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। গড়ে তুলেছিলেন ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’। কমিটির পক্ষ থেকে কাজের দাবিতে বন্দর প্রশাসনের কাছে দরবারও করেছিলেন। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’র ব্যানারে তাই ফের তাঁরা সামিল হয়েছিলেন কর্মবিরতিতে। যার জেরে রবিবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল সীমান্ত বাণিজ্য। তবে সোমবার সন্ধ্যা সেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

Advertisements
Advertisement

শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হওয়ায়  মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল এবং বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি ফের  শুরু হয়েছে। মূলক পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল।  তবে প্রধান দু’টি দাবির একটি ছিল যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে বেনাপোলে কুলিদের যেতে দিতে হবে। দ্বিতীয়তটি , ট্রাক পৌঁছে দিয়ে চালক-খালাসিদের বেনাপোল থেকে দিনের দিন ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। সোমবার পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দুই দফা দাবি মেনে নেওয়ায় সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন।

Advertisements

প্রতিদিন ভারত থেকে তিনশোর কাছাকাছি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যায়। বাংলাদেশ থেকে আসে দুশো ট্রাক। দু’দিনের কর্মবিরতির জেরে দুই দেশের বাণিজ্যই বন্ধ থাকায় কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। স্থলবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই পারেই ট্রাকের লম্বা সারি পড়ে গিয়েছিল। তবে এদিন সকাল থেকে সীমান্ত বাণিজ্য নতুন করে শুরু হওয়ায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এদিকে আমদানি-রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্য এবং পচনশীল পণ্যও রয়েছে।  ফলে দ্রুত বাণিজ্য সচল না হলে ব্যবসায়ীদের  লোকসানের কবলে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে পেট্রোপল স্থলবন্দর দু’দিন বন্ধ থাকলেও বেনাপোল খোলা ছিল।  ফলে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল শুল্কভবন ও বন্দরের কাজকর্ম এবং আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।  পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেন৷

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button