অফবিট

সঙ্গিনীর মন জয় করতে মাকড়সাও পেখম তুলে নাচে, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মাকড়সা নামটি শুনলে যাদেরই ভয় বুকের ভেতরটা ধড়াস ধড়াস করে তারা যদি একবার এই মাকড়সাটি দেখে তবে নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে মাকড়সার প্রতি তাদের ভালোবাসা তৈরি হবে। কারণ মাকড়সা বলতে আমরা সাধারণত বিদঘুটে কদাকার দেখতে একটি প্রাণীকে ভেবে থাকি। কিন্তু ‘পিকক স্পাইডার’ যা বাংলা অর্থের ‘ময়ূর মাকড়সা’, যার পশ্চাৎদেশ রংবেরঙের। আর সঙ্গিনীকে আকর্ষণ করার জন্য এরা তাদের পশ্চাৎদেশ দুলিয়ে দুলিয়ে নাচ দেখিয়ে প্রেম নিবেদন করে। ঠিক যেমন মেঘ দেখলেই ময়ূরের পেখম তুলে নেচে নেচে যৌন আবেদন প্রকাশ করে। এই মাকড়সা চোখ ঠিক তেমনি।

Advertisement
Advertisement

আকারে বেশ ছোট মাকড়সা টি মানুষের সাধারণত কোনো ক্ষতি করে না বরঞ্চ আপনাকে দেখে সে পালিয়ে যাবে। আপনি বরং তাকে দেখার জন্য এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেন। প্রাণিবিদ্যার দল একসময় অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত জেসপার এলাকা থেকে আমাকে খুঁজে বের করেন। সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, কুইন্সল্যান্ড, নিউ সাউথ ওয়েল্স অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষ মাকড়সার পশ্চাদ্দেশ লাল, নীল, কমলা, সোনালী বর্ণের উজ্জ্বল হয়ে থাকে। আকারে এতটাই ছোট হয় যে, এরা এদের নরম চোয়াল বসাতে পারেনা মানুষের ত্বকে।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

এসব প্রাণী গুলোকে দেখলে মনে হয় ঈশ্বর তার নিখুঁত হাতের ছোয়ায় এক পৃথিবীকে যেন একদা এঁকে দিয়েছিলেন। এমন কতইনা আজব আজব প্রাণী রয়েছে পৃথিবীতে। তবে এত সুন্দর মাকড়সাও যে হতে পারে তার সত্যি না দেখলে বিশ্বাস হত না। যৌন মিলনের জন্য প্রাণীরা কত কিছুই না করে থাকে। সেই কারণেই কোথায় পুরুষ প্রাণীদের দেখতে এত সুন্দর হয়। ময়ূরীর থেকে ময়ূর অনেক সুন্দর, আবার কোকিলের গলা কোকিলার গলার থেকে অনেক সুন্দর।

কত পাখি আছে যারা নাচ দেখিয়ে গান শুনিয়ে নানান রকম অঙ্গভঙ্গি করে নিজের সঙ্গিনীকে কাছে ডেকে নেয়। ক্ষুদ্র নিরীহ এই আজকে জন্তুটির এমন রংবেরঙের শরীর নিয়ে নাচ দেখানো দেখলে যে কেউ এই প্রাণীটির প্রেমে পড়ে যাবে একথা সত্য। এ প্রাণীটির বৈজ্ঞানিক নাম মারাটুস ভেসপা। এটা জাল বোনে না, লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button