অফবিট

দিনের পর দিন আকাশে দেখা যায়নি চাঁদ, অবশেষে ৯১০ বছরের রহস্য উদঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – আকাশে গোল থালার মতন চাঁদ উঠেছে। চারিদিকে চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে। পূর্ণিমার পরে একটা একটা করে দিন পেরোচ্ছে চাঁদ সরু ফালি হয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে চাঁদের আর দেখা মিলছে না। আবার একটু একটু করে চাঁদের উদয় হচ্ছে। আবারো আসছে পূর্ণিমার ঝলমলে রাত। এমনভাবেই চাঁদ আসে, যায়। কিন্তু সালটা ছিল ১১১০। আকাশের বুকে নেমে এসেছিল ঘোর অমাবস্যা। অমাবস্যা চলে ছিল বহুদিন ধরে অর্থাৎ চাঁদ একেবারে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল আকাশ থেকে। কিন্তু অমন সুন্দর পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ গেল কোথায়?

Advertisement
Advertisement

চাঁদ শুধু মহাকাশে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যেই নয় চাঁদ সাহিত্যজগতে ও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কবির ভাষায়-

Advertisement

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়/ পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি” সৌন্দর্যের জন্যই তো তার এমন কদর। থাকুক না চাঁদের গায়ে কলঙ্ক, সুন্দর হলে একটু কলঙ্ক সবাই মেনে নেয়। করোনা ভাইরাস এর জন্য গোটা বিশ্বের মানুষ যখন কার্যত গৃহবন্দী হয়ে বাড়িতে বসে আছে। কয়েকদিন আগে গোলাপি আভা যুক্ত চাঁদের বাহার আমরা প্রত্যেকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছি। এখন সময় অঢেল। রাত্রি হলে ক্লান্তিতে বিছানায় আর ঘুম চলে আসে না। তাই প্রকৃতিকে উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে অনেকটাই।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু ১১১০ সালে কি এমন ঘটেছিল? যে আকাশ ঢেকে গিয়েছিল কালো অন্ধকারে। রহস্য উদঘাটন করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। জানানো হয়েছে, এই বছরে ভৌগোলিক পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না। ঘটে গিয়েছিলো বৃহৎ অগ্নুৎপাত। বাতাসে মিশে ছিল সালফার। কালো ছাই ছড়িয়ে গিয়েছিল বাতাসে। তার উপরে কুয়াশার এক ঘন স্তর পড়েছিল। আর এই কারণেই চাঁদকে দেখা যাচ্ছিল না। প্রায় ৯০০ বছরের ও বেশি সময় পরে বৈজ্ঞানিকরা আসল কারণ জানতে পারলেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকরা এই তথ্যকে তুলে আনেন। তাদের গবেষণা পত্রের শিরোনাম “Climatic and societal impacts of a “forgotten” cluster of volcanic eruptions in 1108 – 1110″.

Advertisement

Related Articles

Back to top button