নিউজরাজ্য

শিক্ষক সমন্বয় কমিটির অবস্থান বিক্ষোভে অশান্তি, ধর্মতলায় শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ

শিক্ষক সমন্বয় কমিটির সমাবেশে যোগ দিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। 

Advertisement
Advertisement

শিক্ষক সমন্বয় কমিটির সমাবেশে যোগ দিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। রবিবার ধর্মতলার রানি রাসমনি রোডে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমনের ভিতরে ১৩ টি সংগঠন ছাড়াও আরও বেশ কিছু শিক্ষক, অশিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। বিকেল নাগাদ সেখানে উপস্থিত হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাকে সামনে পেয়েই ঘিরে ধরে নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানে হয় বলেও অভিযোগ। মুহূর্তের মাঝে ধর্মতলা চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

Advertisement
Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামোর উন্নতি সহ একাধিক দাবিতে অন্দোলন করছে এসএসকে, এসএসকে , প্রাণীমিত্র, পার্শ্বশিক্ষক সহ মোট ১৩ টি সংগঠনের তৈরি শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চ। জানুয়ারিতে একাধিক প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি করেছেন তারা। নবান্ন অভিযান, বিকশ ভবন অভিযানে বারবার বাধা পাওয়া সত্ত্বেও কোনও ভাবেই দমে যাননি সদস্যরা। লাগাতার আন্দোলন চলছেই। সম্প্রতি এই সংগঠনের ছত্রছায়ায় এসেছে আরও কয়েকটি শিক্ষক ও অশিক্ষক সংগঠন, যার মধ্যে রয়েছে শাসকদল ঘনিষ্ঠ দুটি শিক্ষক সংগঠনও। তৈরি হয়েছে নতুন মঞ্চ – শিক্ষক সমন্বয় কমিটি। রবিবার ধর্মতলার রানি রাসমনি চত্বরে হোর্ডিং, ব্যানার নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন এই নতুন সংগঠনের সদস্যরা। সেসময় শিক্ষামন্ত্রী পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সরকারি সুবিধা জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত হন। অভিযোগ, তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান নতুন সংগঠনগুলির জনা কয়েক সদস্য। তারা আরও বেশ কিছু দাবি তোলেন।

Advertisement

বাংলার অন্তর্বর্তী বাজেটে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ৩ শতাংশ ভাতাবৃদ্ধি, অবসর কালীন ভাতার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইমতো শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলতি মাস থেকেই তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও এই বিক্ষোভ কেন? মুক্তমনের এক সদস্যের বক্তব্য,”গতবার আমাদের ৭ জন প্রতিনিধির সাথে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ভাতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা সবাই। তবে একই সাথে বেতন বৃদ্ধি দাবিও করছি।” তবে এই দিন শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ধরে নতুন সংগঠনের বিক্ষোভ দেখানো মোটেই সমর্থন করছেন না আদি শিক্ষক ঐক্য মুক্তিমঞ্চের সদস্যরা। সেই কারণে বড় সংগঠনের আন্দোলন এখানেই দ্বিধাবিভক্ত, তা বলাই চলে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button