WB State Govt Employees Update: ডিএ বাড়ছে না, তবে সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিল রাজ্য সরকার!

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখনও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পান না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সম্প্রতি কর্মীদের জন্য একটি বড় সুখবর ঘোষণা করেছে। চুক্তিভিত্তিক এবং দৈনিক ভাতার কর্মীদের অবসরের…

Avatar

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখনও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পান না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সম্প্রতি কর্মীদের জন্য একটি বড় সুখবর ঘোষণা করেছে। চুক্তিভিত্তিক এবং দৈনিক ভাতার কর্মীদের অবসরের সময় টার্মিনাল বেনিফিট’ (এককালীন আর্থিক অনুদান) দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর।

‘টার্মিনাল বেনিফিট’ পাওয়ার নতুন নিয়ম

রাজ্যের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন থেকে ডিরেক্টরেট এবং তার সমতুল্য সংস্থাগুলিতে কর্মীরা এইচআরএমএস (HRMS) পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
– অনুমোদন প্রক্রিয়ার সরলীকরণ:
– ডিরেক্টরের কাছ থেকে অনুমোদন পেলেই যথেষ্ট হবে।
– অর্থ দফতর বা অন্য কোনও দফতরের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
– ফলে বিলম্ব ছাড়াই কর্মীরা অবসরের দিনই অনুদান পেয়ে যাবেন।
– প্রক্রিয়া দ্রুততর:
– পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল হওয়ায় বিলম্বের সম্ভাবনা প্রায় নেই।

রাজ্যে ডিএর বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন, যা কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএর তুলনায় অনেক কম।
– কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ বর্তমানে ৫৩%।
– এর ফলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কর্মীদের ডিএর ফারাক আরও বেড়েছে।
– রাজ্য সরকার ডিএ বাড়ানোর দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীদের ৩৯% প্রাপ্য ডিএ দেওয়ার দাবিকে অগ্রাহ্য করেছে।

বেতন কমিশন:
– কেন্দ্রে বর্তমানে সপ্তম পে কমিশন চালু রয়েছে।
– পশ্চিমবঙ্গে এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর।
– রাজ্যের পে কমিশন বরাবর কেন্দ্রীয় কমিশনের থেকে ধীর গতিতে কার্যকর হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত অষ্টম বেতন কমিশন

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেছেন, অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
– অষ্টম কমিশন গঠনের জন্য শীঘ্রই চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করা হবে।
– ২০২৬ সালের মধ্যে এই কমিশন চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।
– তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

রাজ্যের কর্মীদের প্রতিক্রিয়া

রাজ্যে ডিএ বৃদ্ধি না হওয়ায় অসন্তোষ বাড়লেও, ‘টার্মিনাল বেনিফিট’ পাওয়ার প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং দ্রুততর ব্যবস্থা কর্মীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আনবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্য কর্মীদের অবসরের সময় আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছে। তবে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে কর্মীদের দাবি এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বেতন ব্যবস্থার ফারাক এখনও একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে রয়ে গেছে।