টলিউডবিনোদনভাইরাল & ভিডিও

Sreelekha Mitra: বিয়ের ছবি পোস্ট করে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন শ্রীলেখা মিত্র

Advertisement
Advertisement

ক্যালেন্ডারের পাতায় ৩৬৫ দিনের মধ্যে কোনো কোনো বিশেষ তারিখ আমাদের সকলের জীবনের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কখনো এই বিশেষ তারিখের সঙ্গে বিশেষ কারোর জন্য অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ, ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে তো আবার কখনো বিশেষ মানুষের প্রতি মান-অভিমান, দুঃখ-বেদনা এগুলি জড়িয়ে থাকে। কিন্তু কালের নিয়মে প্রতিবছর এই বিশেষ দিন ফিরে ফিরে আসে। আর ফের অতীতের স্মৃতি উসকে মনে করিয়ে দেয় সবকিছু। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

Advertisement
Advertisement

শ্রীলেখা মিত্র মানেই বরাবরই একটু অন্যরকম থাকতে ভালোবাসেন। কোনও ছকে বা গান্ডিতে নিজেকে বাঁধতে চাননা। স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলবার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এই জন্য অনেক সময়ই অপরের কাছে অপ্রিয় পাত্রী হন তিনি, তবে তাতে পাত্তা দিতে নারাজ শ্রীলেখার। কারণ তাঁর জীবনের একটাই মন্ত্র- ‘আমি আমার মতো’। গতকাল অর্থাৎ ২০শে নভেম্বর শ্রীলেখার জীবনের একটা বিশেষ দিন। ১৮ বছর আগে এই দিনেই শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অভিনেত্রী। 

Advertisement

Advertisement
Advertisement

শনিবার ছিল শ্রীলেখার ১৮ তম বিবাহবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে আনন্দের থেকে মন খারাপই ছিল অভিনেত্রীর। তাই নিজের স্মৃতির পাতা উলটে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কিছু অদেখা কিছু ছবি। পাশাপাশি জানালেন তাঁর মন খারাপে কথা। এদিন ১৮ বছর আগে কনের সাজে নিজের একটি ছবি ভাগ করে নেন শ্রীলেখা আর পরের ছবিতে সেই সাজে নিজের বাবার সঙ্গে ছবি দিলেন তিনি । আসলে পুজোর ঠিক আগে আগে নিজের প্রিয় বন্ধু আর বাবাকে হারিয়েছেন শ্রীলেখা। আর জীবনের সেই শূন্যতা কোনওদিনই পূরণ হওয়ার নয়। আর বিশেষ দিনগুলোতে কাছের মানুষদের বড্ড বেশিই মনে পড়ছে। কারণ এই ২০শে নভেম্বর শুধু শ্রীলেখার বিবাহবার্ষিকী নয় তাঁর প্রয়াত বাবার প্রথম জন্মবার্ষিকীও। 

এদিন আবেগপ্রবণ হয়ে শ্রীলেখা লেখেন, ‘কিছু কিছু দিন জীবনে এমন দাগ কেটে যায় বা এমন ক্ষত দিয়ে যায়, যা চিরতরে থেকে যায়। একইসঙ্গে সেই ক্ষত তা যন্ত্রণার আবার ভালোলাগারও। ২০০৩ সালের এমনই এক ২০ নভেম্বর বিয়ে করেছিলাম। আর এই ২০ নভেম্বরই আমার বাবার জন্মদিন। দুটো দিনই আজ আমার জীবনে অতীত। বিয়েও অতীত হয়েছে আর বাবাও ছেড়ে চলে গিয়েছে। আমি শুধু স্মৃতির পাতা ওল্টাচ্ছি।’

শ্রীলেখার এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে অনুরাগীরা অভিনেত্রীকে মন খারাপ নয় বরং মন শক্ত করবার বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য ১০ বছর সংসার করার পর ২০১৩ সালে শিলাদিত্য সান্যালের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় শ্রীলেখার। তাঁদের এক সন্তান, ঐশী। মেয়ে মায়ের কাছেই থাকে। তবে বাবার সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে ঐশী। শ্রীলেখার নিজেরও প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ করলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। কোনও তিক্ততা নেই এই দুই প্রাক্তনের সম্পর্কে। বরং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button