দেশনিউজভাইরাল & ভিডিও

মুখ দিয়ে শ্বাসবায়ু দিয়ে মাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা দুই মেয়ের, ভাইরাল ছবি

উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই, কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হলো করোনা রোগীর! প্রশ্নের মুখে যোগীর রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা

Advertisement
Advertisement

সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিমধ্যেই লাগামছাড়া অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউতে ইতিমধ্যেই বেসামাল হয়ে পড়েছে দেশ। প্রতি দিন হাজারের ওপর মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব এবং অসহায় মানুষের হাহাকার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকার মরদেহ পোড়ানোর জন্য জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না শ্মশানে। সব থেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। তবুও যেন করোনাভাইরাস কে বাগে আনা যাচ্ছে না।

Advertisement
Advertisement

একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সংবাদপত্রের পাতায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেখা যাচ্ছে। চরম অমানবিকতার বিভিন্ন ছবি ভেসে আসছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের পাতায়। কিছুদিন আগেই আমরা একটি ভিডিও দেখতে পেয়েছিলাম সোশ্যাল মিডিয়াতে যেখানে মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী মুখে হাওয়া দিয়ে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন।

Advertisement

এবারে সেই ঘটনার কিছুটা প্রতিচ্ছবি পাওয়া গেল উত্তর প্রদেশের বাহারিক জেলায়। এখানে দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালের একটি স্ট্রেচারের উপর একজন মহিলা প্রায় নিস্তেজ শুয়ে রয়েছেন এবং তার অক্সিজেন লেভেল ক্রমাগত নেমে চলেছে। পরিবারের লোকেরা ব্যবস্থা করে অক্সিজেন জোগাড় করতে পারছে না। এই অবস্থায় উপায়ন্তর না দেখে কবিতা কান্ত মৃত্যুপথযাত্রী মাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করেছে দুই মেয়ে। মায়ের মুখে নিজের মুখ থেকে অক্সিজেন ভাগ করে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে দুজন। অনেক সময় আমরা দেখে থাকি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীকে এইভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। গত শনিবার এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের উপরে একের পর এক আক্রমণ আসতে শুরু করে।

Advertisement
Advertisement

নড়েচড়ে বসেন জেলা প্রশাসক শম্ভু কুমার। চিকিৎসকদের পরীক্ষা করানোর সময় ওই মহিলার মৃত্যু ঘটে। সরকারি হাসপাতালে জানানো হয়, “ওই মহিলার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করতে করতেই তিনি মারা যান। সেটা তার পরিবারের লোকেরা মেনে নিয়েছেন। দুই মেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস বায়ু দিয়ে মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। হাসপাতালে অক্সিজেন এর কোনো ঘাটতি নেই।” প্রশ্নটা অন্য জায়গায় উঠছে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল, যে ডাক্তারের দেখার সময় ছিল কিন্তু একটা সামান্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসার সময় ছিল না?

Advertisement

Related Articles

Back to top button