টলিউডবিনোদন

‘সেক্সারসাইজ নয়, এক্সারসাইজে এভারগ্রিন রেখেছি’ বিতর্কিত মন্তব্য শ্রীলেখার

Advertisement
Advertisement

ইদানিং অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র মানেই বিতর্ক। সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করলেন, সেক্সারসাইজ নয়, এক্সারসাইজ তাঁকে এভারগ্রিন রেখেছে। সম্প্রতি তিনি যোগার পশ্চারের সঙ্গে আনফিল্টারড ছবি মিশিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। শ্রীলেখার পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই তাতে লাইক পড়তে শুরু করে এবং মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায় সাইবার দুনিয়ায়। সেই পোস্টেই কমেন্ট করে শ্রীলেখা জানান তাঁর এভারগ্রিন থাকার রহস্য।

Advertisement
Advertisement

নেটিজেনদের একাংশ শ্রীলেখার কাছে জানতে চেয়েছেন, শ্রীলেখা হঠাৎ সেক্স ও এক্সারসাইজ নিয়ে এইরকম মন্তব্য কেন করলেন। মিডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা জানান যে, তাঁর ডাক্তারবাবু বলেছেন, ভারতবর্ষে যৌনতাকে ট‍্যাবু হিসাবে ধরা হলেও, দৈনন্দিন জীবনে যৌনতার প্রয়োজন রয়েছে। শারীরিক মিলনের ফলে অবসাদ কমে যায়। এর ফলে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যৌনতার ফলে মানুষ অনেকটা রিল‍্যাক্সড হয়ে যান। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও একই উপকার পাওয়া যায়। এই কারণে শ্রীলেখা মজা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য করেন।

Advertisement

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বরাবর স্বাস্থ্য সচেতন। তিনি নিয়মিত এক-দেড় ঘন্টা যোগা করেন। শ্রীলেখার ডায়েট খুব সাধারণ। তবে তিনি ভাজাভুজি ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলেন। পার্টিতেও তাঁকে দেখা যায় না। শ্রীলেখার জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে তাঁর পোষ্য সারমেয়রা। স্ট্রিট ডগ-দের জন্য শ্রীলেখা কাজ করেন। সম্প্রতি লকডাউনের সময় রাস্তায় সারমেয়দের খাবার দিতে গেলে শ্রীলেখার প্রতিবেশীরা তাঁকে অপমান করেন। মিডিয়ায় এই ঘটনা উঠে আসে। ঘটনাটি থানা অবধি গড়ায়। ফলে প্রতিবেশীরা শ্রীলেখার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ‍্য হন। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই সত্ত্বেও শ্রীলেখার ইতিবাচক জীবনযাত্রা তাঁকে ঝলমলে ও সতেজ রেখেছে।

Advertisement
Advertisement

কিছুদিন আগে টলিটাউনের নেপোটিজম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। ফলে তাঁর কিছু তথাকথিত বন্ধু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন। কিন্তু শ্রীলেখা তাদের ‘নেগেটিভ ভাইবস’ ছাড়া আর কিছু মনে করেন না। সম্প্রতি শ্রীলেখার হাতে কিছু ফিল্মের অফার এসেছে। ফলে তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন প্রাথমিক স্তরের চিত্রনাট্যের ডেভলপমেন্ট নিয়ে। এছাড়া গোটা নভেম্বর জুড়ে তিনি ব্যস্ত থাকবেন ওয়েব সিরিজের শুটিং নিয়ে। পুজোর আগে সুন্দরবনে ত্রাণসামগ্রী বিলির কাজে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেখানে ত্রাণ বিলির পাশাপাশি একটু পড়াশোনাও করিয়েছেন স্থানীয় ছেলেমেয়েদের। সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে খুব ভালো লেগেছে শ্রীলেখার। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন তিনি। সুন্দরবনে তাঁর কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীদের কথা দিয়ে এসেছেন, তিনি আবার আসবেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button