Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বিধ্বস্ত লালকেল্লায় বাড়ানো হল নিরাপত্তা, শুরু কৃষক ধরপাকড়ের কাজ

নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কার্যত দিল্লির (Delhi) দখল নেয় কৃষকেরা। দিল্লি পুলিশের (Police) কার্যালয় আইটিও, নিজামুদ্দিন, লালকেল্লা (Red Fort) সহ একাধিক জায়গা দখল করে কৃষকরা…

Avatar

নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কার্যত দিল্লির (Delhi) দখল নেয় কৃষকেরা। দিল্লি পুলিশের (Police) কার্যালয় আইটিও, নিজামুদ্দিন, লালকেল্লা (Red Fort) সহ একাধিক জায়গা দখল করে কৃষকরা (Farmers)। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লালকেল্লা দখল করে সেখানে কৃষক পতাকাও ওড়ানো হয়।

নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট রুটেই কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল করার কথা। শুধু তাই নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষের পরই ট্রাক্টর মিছিল হওয়ার কথা এবার তা দিল্লির  ভেতরে ঢোকার কথা ছিল না। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে লালকেল্লা ও আইটিওর মত জায়গায় ঢুকে পড়ে কৃষকরা।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

পুলিশের অভিযোগ সেখানের নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করে ভাঙচুর চালায় কৃষকরা। ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী যেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তার পাশেই প্রজাতন্ত্র দিবসে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করে কৃষকরা।

রীতিমতো যেন তাণ্ডব চলেছে দিল্লিতে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার লালকেল্লায় যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল। এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি বৈঠক ডাকেন। সিআরপিএফের ডিজি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পৌঁছে লাল কেল্লার ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে অবহিত করেন। অনেককে এখনও আটক রাখা হয়েছে।

এই হিংসার নিন্দা করছে রাজনীতির সব পক্ষই। পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে এই তাণ্ডবের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত এনসিআর এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ লালকেল্লা রক্ষা করতে সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। বুধবার দুপুরে এই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন হওয়ার কথা।

ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে এখন লালকেল্লার সুরক্ষা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। লালকেল্লার আশেপাশে কোনও দুষ্কৃতী লুকিয়ে রয়েছে কি না, তাও ড্রোন ক্যামেরা থেকে নিশ্চিত করা হচ্ছে। যারা লালকেল্লায় ঢুকে ভাঙচুর করেছেন এবং যারা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছেন তাদের সিসিটিভির মাধ্যমে  নজরদারি করছে পুলিশ। একই সঙ্গে সেই কৃষক নেতাদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে যারা জনগণকে উস্কানি দিয়ে এই কাজ করেছে।

কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেডের জন্য রুট বেধে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।  দেওয়া হয়েছিল ৩৭টি শর্ত। কিন্তু ওই প্যারেড শুরু থেকেই রুট ভেঙে ফেলা হয়। মানা হয়নি ব্যারিকেডও। মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যার জেরে অশান্ত হল দিল্লি।

About Author