ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

SBI-এর দুর্দান্ত স্কিম, অবিলম্বে ৭ লক্ষ টাকার বেশি আয় করুন, প্রয়োজনীয় শর্তগুলি জানুন

ভারতের সবথেকে বড় পাবলিক সেক্টর ব্যাংকের তরফ থেকে এই নতুন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসা হয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্য

×
Advertisement

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে ভারতের সব থেকে বড় পাবলিক সেক্টর ব্যাংক। ভারতের বহু মানুষ এই এসবিআই-র ভরসায় নিজের সমস্ত আমানত জমা করে রাখেন। আর সেরকম ভাবেই স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে তাদের গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন অফার নিয়ে আসা হয়।সম্প্রতি এসবিআই এর তরফ থেকে একটি নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্য যার মাধ্যমে আপনিও কোটিপতি হবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এই মুহূর্তে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে এটিএম ফ্রাঞ্চাইজির সুবিধা। আপনি যদি এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করে এসবিআই এটিএম এর ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করেন তাহলে আপনি সহজেই প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ প্রতিবছর প্রায় ৭.২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন আপনারা। এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন শর্ত রাখা হয়েছে যা আপনাকে মেনে চলতে হবে।

Advertisements
Advertisement

এসবিআই এর এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে হলে আপনার আবাসিক এলাকা একটি খালি জমি থাকতে হবে। তাহলেই কিন্তু আপনারা এটিএম ইনস্টলেশন এর জন্য আবেদন জানাতে পারবেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে।

Advertisements

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার শর্ত-

১. এসবিআই এটিএম এর ফ্রাঞ্চাইজি নিতে গেলে আপনার কাছে মোটামুটি ৫০ থেকে ৮০ বর্গফুটের মত জায়গা থাকতে হবে।
২. স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অন্য একটি এটিএম থেকে আপনার জমির দূরত্ব কম করে হলেও ১০০ মিটার হতে হবে।
৩. এই জায়গাটির দৃশ্যমানতা ভালো হতে হবে এবং এই জায়গাটা হতে হবে একটি স্পেস গ্রাউন্ড।
৪. এই জায়গায় ২৪ ঘন্টা পাওয়ার সাপ্লাই থাকতে হবে এবং এক কিলোওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কানেকশন থাকতে হবে।
৫. এই এটিএমে প্রতিদিন ৩০০ টি লেনদেনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
৬. এটিএমের জায়গায় কংক্রিট নির্মিত ছাদ থাকতে হবে।
৭. সোসাইটি এবং অথরিটির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট আপনার কাছে থাকতে হবে।

Advertisements
Advertisement

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

১. আইডি প্রুফের মধ্যে রয়েছে – আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড।
২. অ্যাড্রেস প্রুফ – রেশন কার্ড, ইলেক্ট্রিসিটি বিল
৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং পাসবুক
৪. ফটোগ্রাফ, ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর
৫. অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টস
৬. জিএসটি নম্বর
৭. ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্ট

এইভাবে করুন আবেদন

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি প্রদান করা কোম্পানিগুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ভারতে এটিএম তৈরি করার কন্ট্রাক্ট মূলত তিনটি কোম্পানির কাছে রয়েছে – টাটা ইন্ডিক্যাশ, মূথুট এটিএম এবং ইন্ডিয়া ওয়ান এটিএম। এর জন্য আপনি যে কোন একটি কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন।

কত টাকা রোজগার করতে পারেন?

এই তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবথেকে পুরনো কোম্পানি হল টাটা ইন্ডিক্যাশ। এই কোম্পানির থেকে এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ২ লাখ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে। এই ডিপোজিট হবে একেবারে রিফান্ডেবল। আপনাকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যাংকিং ক্যাপিটাল হিসেবে জমা করতে হবে। এভাবে আপনার সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল হবে ৫ লক্ষ টাকা। আর এই এটিএম গ্রহণ করলে প্রতিটি ক্যাশ লেনদেন থেকে আপনি পেয়ে যাবেন ৮ টাকা করে ও নন-ক্যাশ লেনদেন থেকে পাবেন ২ টাকা করে। অর্থাৎ সারা বছরে আপনি রিটার্ন পাবেন মোটামুটি আপনার ইনভেস্টমেন্টের ৩৩-৫০ শতাংশের মতো। যদি আপনার এটিএম থেকে প্রতিদিন ২৫০ টি ট্রানজেকশন হয়, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ হয় ক্যাশ লেনদেন তাহলে আপনার প্রতি মাসের রোজগার মোটামুটি ৪৫ হাজার টাকা হবে। অন্যদিকে যদি আপনার এটিএম থেকে প্রতিদিন ৫০০টি করে লেনদেন হয়ে, তাহলে আপনার প্রতি মাসে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হবে। অর্থাৎ একবার নিবেশ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন ব্যাপক রিটার্ন।

Related Articles

Back to top button