দামি পেট্রোল এবং ডিজেলের কারণে এই মুহূর্তে সবাই ইলেকট্রিক বাইক এবং গাড়ি ব্যবহার করার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। একটা সময় পর্যন্ত গাড়িতে সিএনজি এবং ইলেকট্রিক দুটি অপশন ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সিএনজি গাড়ি খুব একটা লোককে কিনতে চাইছেন না কারণ এই ধরনের সিএনজি পাম্প ভারতে খুব একটা বেশি নেই। তাই সকলের কাছে সবার আগে পছন্দ হয়ে উঠেছে ইলেকট্রিক বাইক এবং ইলেকট্রিক স্কুটি। এছাড়াও ইলেকট্রিক গাড়ি ও বেশ জনপ্রিয় এই মুহূর্তে। পুরনো বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে নতুন কিছু স্টার্ট আপ কোম্পানি, সকলেই এই ধরনের বাইক এবং স্কুটি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম একটি কোম্পানি হলো হায়দ্রাবাদের স্টাট আপ কোম্পানি ATUMOBILE।
সম্প্রতি তাদের নতুন একটি ইলেকট্রিক বাইক মার্কেটে লঞ্চ হয়ে গিয়েছে যে বাজারের অন্যান্য ইলেকট্রিক বাইকের থেকে দামি অনেকটা সস্তা এবং সকলের জন্যই এই ইলেকট্রিক বাইক পারফেক্ট। ইলেকট্রিক বাইক এর নাম দেওয়া হয়েছে Atum 1.0 এবং এই মুহূর্তে এই বাইকের এক্স শোরুম প্রাইস ৭৪,৯৯৯ টাকা। তবে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি সুখবর, মাত্র ৯৯৯ টাকা দিয়ে আপনি ইলেকট্রিক বাইক এর প্রি-বুকিং করে ফেলতে পারবেন এবং বাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন আপনার নতুন ইলেকট্রিক বাইক।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই নতুন ইলেকট্রিক বাইক আপনারা পেয়ে যাবেন ২ বছরের ওয়ারেন্টি এবং ব্যাটারির উপরে থাকছে ৩ বছরের ওয়ারেন্টি। এই বাইকে একটি ১৪ লিডারের বুট স্পেস দেওয়া হয়েছে। যদি আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই কোন বাইক চালাতে চান তাহলে ইলেকট্রিক বাইক আপনারা কিনতেই পারেন। এই ধরনের ইলেকট্রিক বাইক চালাতে কোনরকম ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয় না। এই সমস্ত ইলেকট্রিক বাইক এর সর্বাধিক স্পিড ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে এবং এই কারণেই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়না এই সমস্ত ইলেকট্রিক বাইক এর ক্ষেত্রে।
Atum 1.0 ইলেকট্রিক বাইকটি দেখলে অনেক পুরোনো জমানার মোটরসাইকেলের কথা মনে পড়ে। যদি আপনি শহরের রাস্তায় এই বাইক চালাতে চান তাহলে কোন অসুবিধা নেই কারণ এই বাইক চালাতে কোনরকম রেজিস্ট্রেশন এর প্রয়োজন হয় না। তবে খুব বেশি দূর পর্যন্ত কিন্তু এই বাইক নিয়ে যাবেন না। এই বাইকের সর্বাধিক রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং এই বাইক চার্জ হতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। কোম্পানির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ১০০ কিলোমিটার চলতে এই বাইকের মাত্র ৭ থেকে ১০ টাকা মত খরচ হয়। একবার সম্পূর্ণ চার্জ করে নিতে মাত্র ১ ইউনিট বিদ্যুৎ আপনার খরচ হবে। তাই এই ইলেকট্রিক বাইক অত্যন্ত সাশ্রয়ী। পাঁচটি কালার অপশন আপনারা পেয়ে যাবেন ইলেকট্রিক বাইক এর সাথে। সেখান থেকে আপনারা নিজেদের পছন্দের রং বেছে নিতে পারবেন।