সন্তানরা কষ্ট পেলে মা-বাবাদের যন্ত্রণা সব থেকে বেশি হয়। এক্ষেত্রেও একই ঘটনা। রিয়া-সৌভিক জেলে যাবার পর দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি সন্ধ্যা চক্রবর্তী। দুই ছেলে মেয়ে মেঝেতে ঘুমাবে জেনে তিনি নিজেও নরম বিছানা ত্যাগ করেছিলেন। এমনকি আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে চেছেয়েছিলে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে রিয়ার মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী জানান যে তাঁদের পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা সদস্যর কোমর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
রিয়ার আইনজীবী প্রত্যেকটা দিন জমিয়ে লড়ে ছিলেন বোম্বে আদালতে। একের পর এক জামিন খারিজ করে দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। অবশেষে দীর্ঘ ২৮ দিনের লড়াইয়ের পর ১ লক্ষ টাকা বন্ডে মুক্তি পান রিয়া। এরপরেই জয়ের হাসি হাসেন রিয়ার আইনজীবী। এদিকে রিয়ার মাও আপাত স্বস্তি পেলেন। যদিও রিয়ার মা জানিয়েছেন রিয়ার জামিনে মুক্তি হয়েছে কিন্তু তাঁর ছেলে এখনও বন্দি রয়েছে। মেয়ে কাছে এলেও, ছেলে এখনও জেলে রয়েছে, তাই চিন্তা দূর হয়নি।
এদিকে রিয়ার ঘরে ফেরায় খুশি বলিউডের অধিকাংশ। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী সহ স্বরা ভাস্করও রিয়ার মুক্তির দাবী জানিয়েছিলেন। বলিউডে এখন খুশির আবহাওয়া। যেদিন থেকে AIIMS এর তরফ থেকে জানানো হয় যে সুশান্তের মৃত্যু কোন খুন নয়, শুধুই আত্মহত্যা সেদিন থেকেই বলিউডে স্বস্তির বাতাবরন গোপনে তৈরি হয়ে গেছে। আজ স্তিমিত সুশান্তের মৃত্যু রহস্য। কেবল আত্মহত্যা। পাশাপাশি এই রিয়া চক্রবর্তীর মা নিজে স্বীকার করেছেন যে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে একটি বিশেষ থেরাপির মাধ্যমে তিনি মনের শক্তি ফিরে পেয়েছেন। বলিউডে আত্মহত্যা খুবই স্বাভাবিক। ঠিক যেমন একই মাসে দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুও আজ ‘আত্মহত্যা’ হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে।














