নিউজরাজ্য

অসময়ে এলাকায় ভিড় করল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, গাছের ডালে বাসা তৈরি পুলিশের

পূর্ব বর্ধমানের নাদানঘাট থানার এই ঘটনায় রীতিমতো সাধুবাদ জানিয়েছে পক্ষী প্রেমীরা

Advertisement
Advertisement

হঠাৎ করেই সারা এলাকায় ছড়িয়ে গিয়েছে ঝাকে ঝাকে পাখি। বটবৃক্ষের এদিক ওদিকে এত সংখ্যক পাখির কলতানে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। এত পরিমান পাখি সচরাচর দেখা যায় না। তার মধ্যেই আবার এত সংখ্যক পাখি দেখতে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। কিন্তু এত মানুষ দেখে যাতে পাখিগুলো ভয় না পেয়ে উড়ে না যায় সেই জন্য তাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি বিকল্প ব্যবস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।

Advertisement
Advertisement

এত সংখ্যক পাখির জন্য ঝুড়ি দিয়ে নিরাপদ বাসস্থান এর আয়োজন করার চেষ্টা করছে বর্ধমান কালনা এলাকার নাদন ঘাট থানার পুলিশ। আর পুলিশের এই কর্মকাণ্ড অত্যন্ত খুশি হয়েছেন পক্ষী প্রেমীরা। তবে এই দৃশ্য যে প্রথমবার দেখছে কালনাবাসি তা কিন্তু নয়, বরং শীত পড়লেই পূর্বস্থলীর চুপির পাখিরালয়ে প্রতিবছর ৭০ প্রজাতির পাখি এসে ভিড় করে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু প্রজাতির পাখি ওই জায়গায় চলে আসে। পূর্বস্থলী এলাকায় এছাড়াও অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন ধরনের পাখির আনাগোনা দেখা যায়। বড় বড় বটবৃক্ষের ডালে বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাট পাখি দেখা যায়। তবে এত সংখ্যক পাখি এই প্রথম।

Advertisement

শীতকালে অনেক সময় কালনা নিবাসীরা পাখি দেখেছেন, কিন্তু এরকম অসময়ে এতগুলি পাঠিয়ে চলে আশায় তারা রীতিমত অবাক হয়েছেন। এই কারণেই তারা এই পাখিগুলিকে আর ছাড়তে চাইছে না। এমন রংবেরঙের বিদেশি পাখি দেখে অত্যন্ত খুশি সেই এলাকার স্থানীয় পুলিশ কর্মীরাও। কিন্তু আশে পাশের এলাকায় পাখি আসার খবর চাউর হয়ে যেতেই সকলেই এসে ভিড় করেছেন কালনা এলাকায় পাখি দেখতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এত ভিড় দেখে যাতে পাখিরা ভয় না পেয়ে যায় তাই তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে তৈরি করার প্রচেষ্টা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের নাদানঘাট থানার পুলিশ।

Advertisement
Advertisement

পাখিদের নিরাপত্তা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গাছের ডালে ডালে কৃত্রিম বাসা ঝুলানো হচ্ছে। এছাড়াও পাখিদের জন্য মাটির পাত্রে জল রাখার ব্যবস্থা করেছেন তারা। এরকম অসময়ে এতগুলি পাখি আসায় তাদের অত্যন্ত ভালো লাগছে দৃশ্য দেখে। থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন রঙের পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল। প্রথমে এটা খুব একটা চোখে পড়েনি কিন্তু পরে সকলেই এই বিষয়টি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন। পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে গাছের ডালে ডালে আমরা কৃত্তিম বাসা তৈরি করেছি।” অন্যদিকে, পুলিশের এই কর্মকাণ্ড অত্যন্ত খুশি পক্ষী প্রেমীরা। তারাও বলছেন, আগে যে রকম ভাবে পাখি দেখা যেত এখন আর সে রকম দেখা যায়না। একেতো যান্ত্রিক সভ্যতা, তার সঙ্গে রয়েছে বৃক্ষনিধন এমনকি মোবাইল ফোনের টাওয়ারের তীব্র চৌম্বকীয় বিকিরণ এই সমস্ত কারণে পাখিদের অস্তিত্ব বর্তমানে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তার মধ্যেই একটা আলাদা নিদর্শন তুলে ধরলেন পূর্ব বর্ধমানের নাদানঘাট থানার পুলিশেরা। যা দেখে সাধুবাদ জানিয়েছে সমগ্র নেটিজেন সমাজ।

Advertisement

Related Articles

Back to top button