Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

আবার বেসুরো প্রবীর ঘোষাল, দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করা হল তৃণমূল শিবির থেকে

সাংবাদিক বৈঠকে আবারও বেসুরো প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal), দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করা হল শাসক শিবির থেকে

Advertisement
Advertisement

দল বিরোধী কাজের জন্য রাজ্যের শাসক শিবির তথা তৃণমূল থেকে শোকজ করা হল প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্র প্রবীর ঘোষালকে। জানা গিয়েছে যে তার কাছে এখনও কোনও চিঠি পৌঁছায়নি। তবু সূত্রের খবর, দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রবীর ঘোষালকে। তবে প্রবীর বাবু জানিয়েছেন যে, তিনি এক শোকজের খবর শুনেছেন সংবাদ মাধ্যমের মুখেই। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, দল বিরোধী কাজের জন্য এইদিন শাসক শিবির থেকে বহিষ্কার করা হল উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে।

Advertisement
Advertisement

বলা বাহুল্য,সম্প্রতি বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে(Baishali Dalmiya) বহিষ্কার করেছিল রাজ্যের শাসক শিবির। দল বিরোধী কাজের অভিযোগে ঘাস ফুল শিবিরের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অনেক দিন ধরেই প্রকাশ্যে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও সংবাদমাধ্যমে রাজীবের সমর্থনে সরব হয়েছিলেন বিধায়ক। তার পরই তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । তিনি বর্তমানে দলহীন বিধায়ক।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হুগলিতে শাসক শিবিরের কোর কমিটি এবং মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal) । আগের দিন পুরশুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনসভায়ও দেখা যায়নি প্রবীর ঘোষালকে। বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল দাবি করেন,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কার্ডে ছিল না আমার নাম ও। সেই কারণেই আগের দিন সভায় যাইনি আমি।”

Advertisement
Advertisement

বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন প্রবীরবাবু। দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। এমন কী মুখ্যমন্ত্রীর পুরশুড়ার সভাতেও দেখা যায়নি তাকে। বলেছিলেন মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন। পুর্ব ঘোষণা মতোই এই দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। জেলার একটি কলেজের ভবন উদ্বোধন নিয়ে জটিলতার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন,” আমি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলাম। উনি সমস্যা সমাধানের কথা দিয়েছিলেন। আমার সামনেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে এখনও কিছুই হয়নি।” তার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কথা দলের কেউ ই শোনেন না।

Advertisement

Related Articles

Back to top button