দেশনিউজপলিটিক্স

অধীরজি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, লোকসভায় ধমকের সুর প্রধানমন্ত্রীর গলায়

Advertisement
Advertisement

নয়াদিল্লি: গত আট তারিখ রাজ্যসভায় (Rajyasabha) রাষ্ট্রপতির (President) ভাষণের জবাবি ভাষণ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েন ও তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছিলেন মোদী। আজ, বুধবার (Wednesday) লোকসভায় ছিল জবাবি ভাষণও। এদিনও  মোদীর ভাষণে এল বাংলার (Bengal) প্রসঙ্গ। আর নিশানায় লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

Advertisement
Advertisement

কৃষি আইন নিয়ে লাগাতার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিন লোকসভায় মোদী কৃষি আইন নিয়ে বক্তব্য রাখতেই কংগ্রেস শোরগোল শুরু করে। মোদী বলেন, কৃষকরা বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী সরকার। আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চলছে। কিন্তু কৃষি আইন নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে দেশে। এর মাঝেই কৃষি আইনকে কালা আইন বলে তার প্রত্যাহারের দাবিতে বিরোধীদের চিৎকার শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন অধীর চৌধুরী। এই পরিস্থিতিতে এক মিনিটের জন্য চুপ করে যান মোদী। এরপরেই বাগ্মি মোদী স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পরিস্থিতি হালকা করার চেষ্টা করেন। বিরোধীরা হইহট্টগোল করে তাকে থামিয়ে দিয়ে এক মিনিটের বিরতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানান। তবে এরপরেও হইহট্টগোল চলতে থাকে। এইসময় সোচ্চার হয়ে ওঠা  বহরমপুরের সাংসদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘অধীরজি বেশি হয়ে যাচ্ছে। আপনাকে সম্মান করি। চিন্তা নেই, বাংলায় তৃণমূলের থেকে আপনি বেশি পাবলিসিটি পাবেন…ভালো দেখাচ্ছে না এটা। কেন আপনি এমন করছেন?’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ তলাকালীন অধীর রঞ্জন চৌধুরী চৌধুরী বলতে থাকেন,  আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে  প্রত্যাশা করেছিলাম যে এত কৃষকের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে  প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন। কিন্তু  প্রধানমন্ত্রী  কৃষকদের জন্য কিছু বলতে রাজি নন।  অধীর রঞ্জন চৌধুরী চৌধুরী  বলতে থাকেন, সরকারের উচিত ছিল সবার উপকারের জন্য একটি আইন চায়, এই কৃষি আইনকে  ফিরিয়ে নাও। অধীর রঞ্জন চৌধুরী চৌধুরী দাবি করেন,  আপনি এটিকে ফিরিয়ে নিন এবং নতুন উপায়ে শুরু করুন। কৃষকদের সাথে কথা বলুন, একটি নতুন আইন আনুন, কেউ আপত্তি করবে না। এরপরই  অধীররঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে সাময়িক বিতর্কও তৈরি হয় প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন নিয়ে।  এই পরিস্থিতিতে সাংসদরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্লোগানও দেন। কিন্তু মোদী জানিয়ে দেন কৃষি আইন কৃষকদের উপকারের জন্য।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ার একটা সময় দাবি করেছিলেন কৃষকদের উন্নয়নের জন্যই পরিকাঠামো পরিবর্তনের প্রয়োজন। শরদ পাওয়ারও বলেছিলেন মান্ডি সিস্টেম বন্ধ করলে তবেই তা সম্ভব।

Advertisement
Advertisement

এদিন প্রথম থেকেই কৃষিআইন নিয়ে অধীর ছিলেন সোচ্চার। বক্তব্যের শুরুতে প্রথমে বাধা পেয়ে অধীরকে  ‘দাদা’ বলে পরিস্থিতি সামালানোর চেষ্টা করেন। তাতেও বিরোধীদের হল্লা না থামায় ধমকের সুর শোনা যায় মোদীর গলায়।  এদিন কেবল অধীর চৌধুরী নয় তার দল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের নিয়ে এই দেশে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এই প্রসঙ্গেই তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে।  বলেন, কৃষি আইন চালুর পর কোনও কৃষক মান্ডি বন্ধ হয়নি। বারবার বাধাদান বিরোধীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। পরিকল্পনা করেই বিরোধীরা বাধা দিচ্ছেন। মোদীর অভিযোগ  কংগ্রেস ও কয়েকটি দল প্রস্তুতি না নিয়েই কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা করছে। অভিযোগের সুরে বলেন , ‘যাঁরা সংসদে হট্টগল করছেন, তাঁদের এটা পরিকল্পিত কৌশল। কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এভাবে চিৎকার করছেন কারণ, না হলে মিথ্যা ও গুজব সামনে চলে আসবে।’ কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী আরও বলেন,  ‘কংগ্রেস দলে এতটাই বিভেদ যে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদরা ভিন্ন অবস্থান নেন।’ এরপর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীনই বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ ওয়াকআউট করেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button