বলিউডবিনোদন

৩ বিয়ে, ২ ডিভোর্স, ৫ কোটি টাকা অ্যালুমনি, বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার পবন কল্যাণ

নিজের প্রেম জীবন নিয়ে বারংবার বিতরকের শিকার হয়েছেন ভিমলা নায়কের অভিনেতা

Advertisement
Advertisement

দক্ষিণ ভারতের পাওয়ারস্টার পবন কল্যাণ ইতিমধ্যেই তার বহুচর্চিত সিনেমা ভিমলা নায়কের জন্য তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে একটা অন্য জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন। এই সিনেমাটি বক্সঅফিসে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে এবং অন্যান্য রিজিওনাল সিনেমার মতো এটিও হয়েছে সকলের কাছে জনপ্রিয়। তবে এই ছবির নায়ক পবন কল্যাণের জীবন একেবারেই কোন সিনেমার প্লটের থেকে কম নয়। অভিনেতা থেকে পরিচালক, স্ক্রিন রাইটার এবং তারপরে রাজনৈতিক নেতা, পবন কল্যাণের ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থেকেছে চর্চায়। এই রিপোর্টে আমরা পবনের অভিনেতা জীবন নয় বরং, কথা বলব তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। তিনি জীবনে তিনবার বিবাহ করেছিলেন। কিন্তু, প্রথম দুই বার তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই সময়ও বিবাহ-বিচ্ছেদের অ্যালুমনি নিয়ে তিনি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কারণ তাকে ৫ কোটি টাকা অ্যালুমনি দিতে হয়েছিল।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

অভিনেতা জগতে অভিষেকের মাত্র ১ বছরের মধ্যে ১৯৯৭ সালে নন্দিনীর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন পবন কল্যাণ। কিন্তু তাঁর বিয়েটা খুব একটা বেশি দিন চলেনি। তাদের দুজনের মধ্যে খুব কম সময়ের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় বিবাদ এবং তারা দুজনে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর, ২০০১ সালে পবন করলেন নিজের দক্ষিণী সহ তারকা রেনু দেশাইয়ের সঙ্গে লিভইন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৪ সালে পবন এবং রেনুর একটি ছেলে হয়, যার নাম রাখা হয় আকিরা নন্দন। তবে, সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, পবন যখন রেনুর সাথে লিভইন সম্পর্কে রয়েছেন, সেই সময় কিন্তু তিনি তার প্রথম স্ত্রী নন্দিনীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেননি। সেই সময় পর্যন্ত নন্দিনী তার স্ত্রী ছিলেন।

Advertisement
Advertisement

২০০৭ সালে নন্দিনী পবন এর বিরুদ্ধে দ্বিবিবাহ মামলা করেন। তিনি অভিযোগ জানান, তাকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি রেনুর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেছেন। তবে অভিনেতা জানান, তিনি রেনুকে বিবাহ করেননি। বিশাখাপত্তনমের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রমাণের অভাবে এই মামলা থেকে পবনকে মুক্তি দেন। তবে, ২০০৭ সালেই বিশাখাপত্তনমের একটি ফ্যামিলি আদালতে ডিভোর্স পিটিশন ফাইল করেন পবন। তিনি দাবি করেছিলেন, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই নন্দিনী তাকে ত্যাগ করেন। যদিও, পবনের এই দাবি ধোপে টেকেনি। ২০০৮ সালে ৫ কোটি টাকা অ্যালুমনি দিয়ে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ করেন।

২০০৯ সালে ৮ বছর লিভইন সম্পর্কে থাকার পর রেনুকে বিয়ে করেন পবন কল্যাণ। ২০১০ সালে জন্ম হয় তার মেয়ে আধ্যার। তবে এই বিয়েটাও খুব একটা বেশি দিন টেকেনি। মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০১২ সালে রেনু এবং পবনের ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু দুবার বিবাহবিচ্ছেদ হবার পরেও, তৃতীয় বার প্রেম আসে অভিনেতার জীবনে। রাশিয়ার নাগরিক অ্যানা লেঝনেভাকে তৃতীয়বার বিবাহ করেন পবন কল্যাণ। দক্ষিণের সিনেমা তিন মারের শুটিংয়ের সময় পবনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল অ্যানার। তারপর তাদের দুজনের মধ্যে প্রেম, এবং সবশেষে ২০১৩ সালে দুজনের বিবাহ হয়। এই মুহূর্তে দুজনের একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে আছে। পবন নিজের এই বিবাহে অত্যন্ত খুশি এবং তারা দুজনে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে হ্যাপিলি ম্যারেড।

Advertisement

Related Articles

Back to top button