নিউজপলিটিক্সরাজ্য

Narad Case : মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রমান নেই, খোদ জানালেন CBI

সিবিআই জানাচ্ছে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা নেওয়ার কোনো অভিযোগ নেই, এই কারণে তথ্য-প্রমাণ তৈরি করা যাচ্ছে না

Advertisement
Advertisement

কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তেমন একটা প্রমাণ নেই, এই কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এমনটাই জানালেন সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিক রা। কিন্তু মুকুল এবং শুভেন্দু অধিকারী কেন এখনও গ্রেফতার হচ্ছেন না সেই নিয়ে চাপের মুখে পড়েছে সিবিআই। অন্যদিকে তারা জানাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, তাই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার অনুমোদন চেয়ছে সিবিআই।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু সিবিআইয়ের দাবি এখনো পর্যন্ত লোকসভার অধ্যক্ষ যেহেতু এই অনুমোদন দেননি, তাই শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাচ্ছে না। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা যদি অনুমতি দেন তাহলে শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ সৌগত রায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর বিরুদ্ধেও তদন্তে নেমে পড়বে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু দুই বছর ধরে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েক বার তাগাদা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাও লোকসভার অধ্যক্ষ এখনো পর্যন্ত অনুমোদন দিচ্ছেন না এই তদন্তের।

Advertisement

উল্টোদিকে আবার, ম্যাথিউ স্যামুয়েল দাবি করেছেন, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা নেওয়ার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু তার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে, মুকুল রায়, আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে টাকা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। মির্জা কে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার পরেও কেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হচ্ছে না সেই নিয়ে সিবিআই এর বিরুদ্ধে আক্রমণ জানিয়েছেন স্যামুয়েল।

Advertisement
Advertisement

মির্জা কে ম্যাথিউ স্যামুয়েল ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও স্যামুয়েল এর সঙ্গে তার কথাবার্তার রেকর্ডিং রয়েছে। সর্বোপরি, যদি মির্জা কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাহলে মুকুলের ব্যাপারে অনেক কিছু জানা যাবে বলে মনে করছেন ম্যাথিউ। কিন্তু তিনি সত্যিই হতবাক এখনো পর্যন্ত কেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এখান থেকেই আবার উঠে আসছে বিতর্কের নতুন অংক, ‘বিজেপি ওয়াশিং মেশিন’ আখ্যান। বিজেপির বেশকিছু রাজ্য স্তরের নেতারা মনে করছেন, এর ফলে সহানুভূতির হাওয়া তৃণমূলের দিকে চলে যেতে পারে।

তাই নিজেদের উপর থেকে দায় ছেড়ে দিয়ে, বিজেপি নেতারা সব সময় বলে যাচ্ছেন, শুভেন্দু এবং মুকুল কে নিয়ে যা করার সিবিআই করবে, সমস্ত কিছু সিবিআই এর ব্যাপার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারদ স্টিং অপারেশন যখন চলেছিল তখন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় দুজনে তৃণমূলের নেতা ছিলেন, পরবর্তীকালে তারা বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপির উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ। শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা।

Advertisement

Related Articles

Back to top button