বাংলায় সুপার সাইক্লোন আমফানের ধ্বংসলীলার চিহ্ন এখনও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ফের দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইতে আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন।’নিসর্গ’। এমনিতেই মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের হার শীর্ষে। তার উপর আবার ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় অর্থাৎ বুধবার শক্তিশালী আকার ধারণ করে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় IMD-র বুলেটিন অনুসারে আলীবাগের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম ভাগ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এবং মুম্বাইয়ের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম ভাগ থেকে ২১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
এই ঘূর্ণিঝড় আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাট উপকূলের দিকে আছড়ে পড়বে। আজ দুপুরের দিকেই এই ঝড়ের আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা অর্থাৎ কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলাতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। পালঘরে সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমহারাষ্ট্রের NDRF-র ২০ দলকে উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মুম্বাইয়ের ৮ টি দল, রায়গড়-র ৫ টি দল, পালঘরের ২ টি দল, থানের ২ টি দল, রত্নগিরি-র ২ টি দল, এবং সিন্ধুদুর্গের ১ টি দল।NDRF-র দল উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছেন। পালঘরে প্রশাসনের তরফ থেকে ৮৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরী রয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া দমন-দিও এবং দাদরা-নগরহাভেলির প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছেন তিনি। মুম্বাইয়ের ও গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকাতে আজ বিকালের পর থেকে কাল দুপুর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।