বলিউডবিনোদন

Drug Case: আদালতে আরিয়ান! ১৩ অক্টোবর অবধি পুলিশি হেফাজত চাইল এনসিবি! উদ্ধার ড্রাগ ডিলাদের সঙ্গে শাহরুখ পুত্রের চ্যাট

Advertisement
Advertisement

শনিবার রাত থেকে এনসিবি কবলে বলিউডের বাদশা শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। শনিবার গভীর রাতে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হঠাৎ হানা দেন বাণিজ্যনগরীর উপকূলের মাঝে চলা এক ক্রুজ পার্টিতে। এই বিলাসবহুল রেভ পার্টিতে উপস্থিত থাকা ব্যাক্তিদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ মাদক দ্রব্য। পার্টিটি মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এম্প্রেস শিপের কর্ডেলিয়া ক্রুজে হচ্ছিল।

Advertisement
Advertisement

সূত্রের খবর ,সেই পার্টি থেকে অবৈধ মাদক দ্রব্য যেমন কোকেন, হ্যাশিস, এমডিএম-এর মতো প্রচুর টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, আরিয়ান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার রাতে ক্রুজে চলা যে পার্টিতে এনসিবি হানা দিয়েছিল সেই পার্টিতেই ছিলেন তিনি। আপাতত দক্ষিণ মুম্বইয়ের বলার্ড এস্টেট অফিসে রাখা হয়েছে তাঁকে। শাহরুখ পুত্র আরিয়ান, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টসহ মোট ৮ জনকে আটক করেছে এনসিবি।

Advertisement

এনসিবি’র জেরায় প্রথমে নিজের মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেননি আরিয়ান। পরে যদিও জেরার মুখে ভেঙে পড়তে হয়। এরপর তিনি জানান, চার বছর ধরে মাদক নেন। এমনকি দুবাই, লন্ডনে গিয়েও মাদক নিয়েছেন তিনি। এনসিবি আধিকারিকরা আরিয়ানের লেন্সের কৌটো থেকে মাদক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে। টানা ১৬ ঘণ্টা জেরার পর রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান ও তাঁর দুই বন্ধুকে।

Advertisement
Advertisement

রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ১ দিনের এনসিবি হেফাজতের। ফের আজ অর্থাৎ সোমবার ফের একবার আদালতে হাজির হয়েছেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। ১৩ অক্টোবর অবধি হেফাজতের আদেশ দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই সোমবার সকালে ধৃতদের মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে সোয়াব স্যাম্পেলও। 

এই দিন আদালতে আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুন ছাড়াও আরও ৬ ধৃতকে হাজির করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন আজ সকালেই। ওই ধৃত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর কাছ থেকে বেশ ভালো পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতকে এই কথা জানিয়েছেন অ্যাডিশনাল  সলিসিটার জেনারেল অনিল সিং। 

আদালতের কাছে অনিল সিং এদিন জানান, ‘এনসিবির পক্ষ থেকে আরিয়ানের ফোন আটক করা হয়েছে। আর সেখানে অনেক সন্দেহজনক কিছু চ্যাট পেয়েছেন তারা যা দেখে স্পষ্টত বোঝা গিয়েছে মাদক ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তাই সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে এনসিবি-র দফতরে জেরা খুব দরকার। তাই এই মুহূর্তে যেন ধৃতরা ছাড়া না পান

এদিন অনিল আরো জানান, হোয়াটস অ্যাপ চাটের থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই মাদক দ্রব্য নেওয়ার জন্য টাকা-পয়সা লেনদেনের কথাও হয়েছিল সএমনকী, বিদেশেও টাকা পাঠানো হয়েছে।আরিয়ানের বিরুদ্ধে পাওয়া সব প্রমাণ নাকি এন ডি পি এস অ্যাক্ট অনুসারে শাস্তিযোগ্য ও রিয়া চক্রবর্তীর কেস অনুযায়ী এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। তাই এই অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা খুব প্রয়োজন। কারণ, আরিয়ানের চ্যাট থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক নাম পাওয়া গিয়েছে, যা মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে চ্যাট করার সময় ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, ছেলের গ্রেপ্তারির পর মাত্র দু’মিনিট শাহরুখ ফোনে কথা বলতে পেরেছেন। কিন্তু বাবা ছেলের কী কথা হল বাবা এবং ছেলের, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন আরিয়ান। শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭, ৮সি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এনসিবির তরফ থেকে।

 

 

Advertisement

Related Articles

Back to top button