দেশনিউজ

কোনোভাবেই থামছে না চিন, এবার উত্তরাখন্ডের লিপুলেখ এলাকায় সেনা বাড়াচ্ছে ড্রাগনের দেশ

গত জুন মাসে পার্লামেন্টের অনুমোদিত মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার সঙ্গে লিপুলেখ গিরিপথকেও নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করেছে নেপাল সরকার।

×
Advertisement

লাদাখের পর এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথে নজর চিনের। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযোগ, সম্প্রতি এই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর এক ব্যাটেলিয়ন সেনা মোতায়েন করেছে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ওই গিরিপথটি ভারতের সঙ্গে চিন ও নেপালের সীমান্ত। ফলে এই এলাকায় চিনের সেনা বাড়ানোয় ভারতীয় সেনা এবং ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) কড়া নজরদারি শুরু করেছে।

Advertisements
Advertisement

কূটনৈতিক ভাবে এই পরিস্থিতি নয়াদিল্লির কাছে স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। গত জুন মাসে পার্লামেন্টের অনুমোদিত মানচিত্রে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার সঙ্গে লিপুলেখ গিরিপথকেও নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করেছে নেপাল সরকার। এ বিষয়ে নয়াদিল্লির আপত্তিকে আমল দেননি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সীমান্তে চিনা সৈনের উপস্থিতি বিষয়টিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

Advertisements

ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে, লিপুলেখ গিরিপথ এলাকায় প্রায় ১,০০০ চিনা সেনা অবস্থান করছে। তাদের কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। শুধু তাই নয়, উত্তর সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সম্প্রতি নিজেদের তৎপরতা বাড়িয়েছে চিনা ফৌজ।

Advertisements
Advertisement

প্রসঙ্গত, তিব্বতের কৈলাস ও মানস সরোবরে যেতে বহুদিন থেকেই এই লিপুলেখ গিরিপথ ব্যবহার করে আসছেন তীর্থযাত্রীরা। চিন অধিকৃত তিব্বতের গ্রামগুলির অধিবাসীরা প্রতি বছর জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে স্থানীয় পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে এখানে আসেন। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে এই এলাকায় সম্প্রতি প্রায় ৮০ কিমি জুড়ে রাস্তার উদ্বোধন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

Related Articles

Back to top button