ভোটের প্রচার এর সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকতলা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মিঠুন নাকি তার বিভিন্ন রক্ত গরম করা ডায়লগ এর মাধ্যমে উস্কানিমূলক মন্তব্য করছিলেন। যার জেরে ভোট পরবর্তী হিংসা হচ্ছে। এবারে এই এফআইআর খারিজ করে নেওয়ার দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন খোদ মিঠুন চক্রবর্তী।
হাইকোর্টে দাখিল করা আর্জিতে মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আপনাদের সকলের মনে থাকবে, মিঠুন চক্রবর্তী যখন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছিলেন তখন তিনি তার নিজের বক্তৃতায় তার সিনেমাগুলোর কালজয়ী ডায়লগ উচ্চারণ করেছিলেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতার বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।” এছাড়াও ভোটের প্রচারের সময় তার মুখে শোনা গিয়েছিল ফাটাকেষ্ট ছবির জনপ্রিয় ডায়লগ, “মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে।” এছাড়াও তিনি বলেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি দু’শোর বেশি আসন নিয়ে এবার ক্ষমতায় আসবে বাংলায়।
কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে পুরোপুরি ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীরা নন, তৃণমূল কর্মীরা ওই জায়গায় জায়গায় আহত হচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট-পরবর্তী হিংসা চলছে বলে খবর। কিন্তু এই হিংসার কারণ কি? মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, মিঠুন চক্রবর্তীর এই সমস্ত রক্ত গরম করা ডায়লগের জন্যই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিমাণ বেড়ে গেছে। শুধু মিঠুন চক্রবর্তী না, একইভাবে, মামলা দায়ের করা হয়েছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও।