কলকাতানিউজ

লকডাউনের আগে বাজারে উপচে পড়া ভিড়, বাজার খোলা থাকলেও মিলছে না সবজি

Advertisement
Advertisement

উত্তর কোলকাতা : ভারতে করোনা ভাইরাস ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪০০-র বেশি মানুষ। তাই ভারতের প্রায় বেশিরভাগ জায়গাতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। লকডাউন না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি লকডাউনের সময় সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বাজার ও খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু সকালে বাজারে গিয়ে সবজির দেখা প্রায় মেলেনি বললেই চলে। উত্তর কলকাতার মানিকতলা বাজারে সবজি নেই। বেশিরভাগ দোকানে আলু নেই। ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, পটল কিছুই মিলছে না। শুধু পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, লঙ্কা, আদা এগুলো বেশি পরিমানে আছে। ফলের মধ্যে কলা ছাড়া আর বিশেষ কিছুর দেখা মেলেনি।

Advertisement

মাছের মধ্যে রুই, কাতলা, চিঙড়ি, ইলিশ, তেলাপিয়া এই মাছগুলি পাওয়া যাচ্ছে। মুরগি ও পাঁঠার মাংস মিলছে। তবে একেকজন একসাথে অনেক পরিমান কিনে নেবার ফলে বাজারে জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে প্রতিদিন বাজার খোলা থাকবে। কিন্তু তবুও সাধারণ মানুষ একসাথে ৫ কেজি বা কেউ ১০ কেজি আলু, পেঁয়াজ কিনছে। যার ফলে বাজারে সবজিরআকাল পড়ছে। মাছ, মাংস ও কয়েক কেজি কিনে নিচ্ছে। যার জন্য অন্য লোকেদের অসুবিধা হচ্ছে। তারা বাজারে গিয়ে কিছুই পাচ্ছেন না।

Advertisement
Advertisement

মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ১৮-২০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০-২৫-র মধ্যে, রুই কাতলা -র দাম ১৫০-১৭০ টাকা প্রতি কেজি, চিংড়ি মাছ ২৫০ টাকা কেজি। তবে ডিমের দাম আগে কম থাকলেও এখন বেড়ে গেছে। পোল্ট্রি ডিমের দাম ৭ টাকা প্রতি পিস্ হয়েছে। আগে যেখানে ৪-৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত।

বাজারে যাতে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম না বাড়ায় তাই প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিধায়করা বাজারে গিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলছেন এবং দাম যদি কেউ বাড়ায় সেটাও পুলিশকে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষকে সচেতন ও একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। সরকার যা নির্দেশিকা দিচ্ছেন সেগুলি মেনে চললে এই মারণ ভাইরাস অনেকটা প্রতিহত করা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

Related Articles

Back to top button