নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি নিয়ে আসতে পারে তৃণমূল, পদ খোয়াতে পারেন একাধিক নেতারা

বর্তমানে যার যারা একাধিক পদে বসে আছেন তাদের পদ খোয়ানোর সম্ভাবনা আছে

Advertisement
Advertisement

ভোটের ফল প্রকাশের পর আগামী ৫ জুন কালীঘাটে তৃণমূলের সদরদপ্তরে মেগা বৈঠক। এই বৈঠকের প্রধান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু নেতা মন্ত্রী, দলের সমস্ত নির্বাচিত বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি সকলে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছেন। এই বৈঠক থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মন্ত্রী এবং সংগঠনের জেলা সভাপতিদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন মমতা। সূত্রের খবর, এবার তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি লাগু হতে চলেছে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, তার দলের একজন নেতা একটিমাত্র পদ সামলান। তাহলে সেই নেতার ওপরে চাপ কমবে আর একটি জায়গায় ভালো করে কাজ করতে পারেন। তার সঙ্গেই অনেক বেশি নেতা মন্ত্রীত্ব পাবেন। ফলে দলের মধ্যে কোন্দলের প্রভাব কমবে।

Advertisement
Advertisement

আগামী ৫ জুন বৈঠকে দলের এই রদবদলের সম্ভাবনা আছে। যারা একাধিক দপ্তর বর্তমানে সামলাচ্ছেন, তাদের পদ খোয়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যেই আছেন বর্তমান সেচমন্ত্রী এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। যদি মমতা এই বিশেষ নীতি গ্রহণ করেন তাহলে সৌমেন মহাপাত্র এর হাত থেকে কোনো একটি পদ চলে যাবে। এছাড়াও আছেন, বর্তমানে বনমন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক পদ এক ব্যক্তি নীতি গ্রহণ করেন তাহলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকেও একটি পদ চলে যাবে। এছাড়াও রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি স্বপন দেবনাথের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। মন্ত্রী অরূপ রায় এবং নেতা পুলক রায়ের ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। দলকে আরও গতিশীল করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গেই, একটা বড়ো প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও কিন্তু নিজের হাতে বেশ কয়েকটি দপ্তরের দায়িত্ব রেখেছেন। তিনিওকি নিজের পদ অন্য কাউকে ছেড়ে দেবেন?

Advertisement

তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ফলে তৃণমূল শিবিরে কাজের গতি অনেকটা বাড়বে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলেন তিনি কাজ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু হয়তো সে রকমটা হচ্ছে না, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরেও একটি ছোট টিম নিয়ে তৃণমূলের রণকৌশল স্থির করবেন প্রশান্ত কিশোর। এই বৈঠকে তারও থাকার সম্ভাবনা আছে। একই সঙ্গে আগামী ২০২৪ এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করছেন প্রশান্ত। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এবার ত্রিপুরার দিকে টার্গেট নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে, ত্রিপুরায় দলের রণকৌশল স্থির করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর নিজে। সুতরাং এটা স্পষ্ট, ২০১৯ এবং ২০২১ থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৪ ও ২০২৬ এর মধ্যে দলকে একেবারে ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব নিচ্ছেন দিদি নিজেই।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button