বলিউডবিনোদন

মেয়ের আবদারে হাসিমুখ মন্দিরার! স্বামীর শোক ভুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন অভিনেত্রী

Advertisement
Advertisement

দেখতে দেখতে এক মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে স্বামী রাজ কৌশলকে হারিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী মন্দিরা বেদী। হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। স্বামীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মন্দিরা ও তাঁর দুই সন্তান। কিন্ত পর মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে সমাজের প্রথা ভেঙ্গে রাজের শেষ কৃত্য সম্পন্ন করলেন মন্দিরা। এর জন্য নানান কুকথা শুনতে হয়েছে অভিনেত্রীকে তবু এসবে কান দেননি মন্দিরা।

Advertisement
Advertisement

রাজ নেই, সময় সময়ের মতো চলেছে। সময় সব দুঃখই ভুলিয়ে দেয়। মন্দিরা স্বামীকে এক মুহূর্তের জন্য ভোলেনি। তবে দুই সন্তানের জন্য নিজের জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর চেষ্টায় অভিনেত্রীকে। স্বামী রাজের সাথে কাটানো ভালো খারাপ মুহূর্ত মনে রেখে ভালো থাকার চেষ্টা করছেন মন্দিরা। দুই সন্তান বীর এবং তারা’কে নিয়েই নিজের জীবন অতিবাহিত করছেন মন্দিরা।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

দুই সন্তানের মা মন্দিরা। গতবছর একটি শিশু কন্যাকে দত্তক নিয়েছিলেন রাজ-মন্দিরা। মেয়েকে আদর করে নাম রাখেন তারা। তারা ছাড়াও রাজ-মন্দিরার আরও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তার নাম বীর। দেখতে দেখতে একবছর হল মন্দিরার জীবনে তারা এসেছে। আগে মন্দিরার সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই অভিনেত্রীর হাসিখুশি ছবি পাওয়া যেত। এখন তা নেই, স্বামীর প্রয়াণের পর সেখানে বিষাদ নজরে পড়েছে সকলের।

অবশেষে হাসলেন মন্দিরা। রাজ চলে যাওয়ার পর এই প্রথম নিজের হাসিমুখে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মন্দিরা। সোমবার নিজের একটি হাসিমুখের ছবি  ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ওয়ার্কআউটের পর যখন আমার ছোট্ট মেয়েটা হাসতে বলল, কী করে ফিরিয়ে দিতাম ওকে?’ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ছেলে আর মেয়ের জন্য নিজের কাজে মন দিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর এই ছবি দেখে অনেকেই অভিনেত্রীকে পুরোনো রুপে দেখার ইচ্ছে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে মুম্বইয়ের বাড়িতে রাজের আত্মার শান্তি কামনায় মন্দিরা এক বিশেষ পুজোর আয়োজনও করেছিলেন। সঙ্গে ছিল পরিবারের অনু সদস্য আর দুই সন্তান বীর এবং তারা। স্বামীর আচমকা মৃত্যুর পর তিনি অনুভব করেছেন একমাত্র ঈশ্বর সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। তাই ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ নিবেদন করেছেন৷ এখন তিনি ভাল থাকার রাস্তা খুঁজছেন তিনি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button