দেশনিউজ

মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স! করোনা আক্রান্ত স্ত্রীয়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে শ্মশানে গেলেন স্বামী

প্রায় ৩ কিলোমিটার হেঁটে তিনি শ্মশানে পৌঁছেছিলেন

Advertisement
Advertisement

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের বুকে আছড়ে পড়ার পর থেকে গোটা দেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সাড়ে ৩ লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হওয়ায় রীতিমতো ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের জীবন এই করোনাকালে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন না বেরিয়ে বাড়িতে থেকে পেট চালানোর মুশকিল তাদের। আবার করোনা আক্রান্ত হলে টেস্ট করানোর পয়সাও নেই তাদের কাছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিজের মৃত্যুর দিকে কাঁধে করে নিয়ে শ্মশান অব্দি যাওয়ার হৃদয়বিদারক দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হলে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

Advertisement
Advertisement

জানা গিয়েছে ঘটনাটি হায়দ্রাবাদ তেলেঙ্গানার কমরেড্ডিতে। করোনার কবলে পড়েছিল এক ব্যক্তির স্ত্রী। টাকা পয়সার অভাবে করোনা টেস্ট বা চিকিৎসা কিছুই করতে পারেনি ওই ব্যক্তি। বাড়িতে থেকেই দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হয়েছে তার স্ত্রীয়ের। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। মৃত্যুর পরও সৎকার করার জন্য ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা যানবাহনের জোগাড় করতে পারেননি। স্ত্রীর মৃত্যুতে বিহ্বল হয়ে শেষপর্যন্ত চোখের জল নিয়ে ওই ব্যক্তি তার কাঁধে স্ত্রীর মৃতদেহকে তুলে ৩ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে শ্মশানে পৌঁছেছেন।

Advertisement

মৃত স্ত্রীর নাম নাগলক্ষী। সে এবং তার স্বামী কামারেড্ডি রেলস্টেশনের কাছে থাকে। কিছুদিন আগে তার করোনা হলেও চিকিৎসা করার সামর্থ্য হয়নি। তারপর বাড়িতে থেকে মৃত্যু হলে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ সাহায্য করতে আসেনি বা টাকা পয়সার অভাবে চড়া দামে অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করতে পারেনি তার স্বামী। শেষ বেলায় তার প্রিয়ের সৎকার যাতে ঠিকমত হয় তাই নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর একটি কাপড় দিয়ে মৃতদেহকে নিজের কাঁধে বেঁধেই সে শ্মশানে পৌঁছে গেছে। এই হৃদয়বিদারক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই দাবানলের মত ছড়িয়ে যায়। এককথায় বলতে গেলে করোনাকালে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কঙ্কালসার অবস্থার প্রতিচ্ছবি হলো এই ভাইরাল ছবি।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button