নিউজপলিটিক্সরাজ্য

শুভেন্দু রাজীব “কুসন্তান”, “দুষ্টু গরু”, কালনা থেকে দলত্যাগীদের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar) কটাক্ষ করেছেন

Advertisement
Advertisement

একুশে নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণোদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। শাসক দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় (kalna) একটি জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি সেখান থেকেই তৃণমূল দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে তীব্র বিদ্রুপ করলেন। তিনি নাম না নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেছেন।

Advertisement
Advertisement

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বর্ধমানের কালনায় বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ ফুটবল গ্রাউন্ডে জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে দলত্যাগীদের মায়ের কুসন্তান ও দুষ্টু গরু বলে কটাক্ষ করেছে। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের দুষ্টু গরুর দরকার নেই। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। কয়েকটা দুষ্টু গরু হাম্বা হাম্বা করে ডাকতে ডাকতেই ইধার উধার করে বেড়াচ্ছে নিজেদের দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য। তারা গিয়েছে এটা বেশ ভালো হয়েছে। পাপ বিদায় নিয়েছে। যারা তৃণমূল থেকে চিনিমুলে খারাপ করে তাদের মত লোকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোন দরকার নেই। তৃণমূল কংগ্রেস তারাই করবে যারা মানুষের কাজে লাগবে।”

Advertisement

এখানেই শেষ করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রতি বেসুরো ও দল ছেড়ে যাবি গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছে তাদের প্রতি আরো জমে থাকা ক্ষোভ আজ উগরে দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন, “মা ছেলেদের খাইয়ে-দাইয়ে লালন পালন করবে, তারপর মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মায়ের যখন কিছু প্রয়োজন হবে তখন তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়ে যাবে? এরা হচ্ছে মায়ের কুসন্তান। এই সন্তান কখনো মায়ের সুসন্তান হতে পারে না।”বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা হয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর কথা বলছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এইকথা পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেছেন, “কুসন্তানদের আপনি নিজে জন্ম দিয়েছেন। লালন পালন করেছেন। তারপর সাংসদ বানিয়েছেন।”

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button