Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছের আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ মাদ্রাসার শিক্ষকদের, দাবি,”হয় মরব, নয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলব”

আলাদা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির পিছনের দিকে আদিগঙ্গায় নেমে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা

Advertisement
Advertisement

শত অনুনয়, শত নিবেদন করেও হলনা কোনও কাজ। তাই এইবার অভিনব কায়দায় বিক্ষোভের পথে হাঁটলেন কিছুজন শিক্ষামিত্র এবং বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক। আলাদা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির পিছনের দিকে আদিগঙ্গায় নেমে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। তাদের বক্তব্য তথা দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে না ইলে কোনও মতেই আদিগঙ্গা থেকে উঠবেন না তারা।

Advertisement
Advertisement

মঙ্গলবার তথা আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পিছনের দিকে আদিগঙ্গায় আচমকা নেমে পড়েন পাঁচ জন শিক্ষামিত্র এবং মাদ্রাসার শিক্ষক। তাদের মাঝে আছেন একজন মহিলাও। ওই শিক্ষামিত্র দাবি করেন, দীর্ঘদিন দেওয়া হয়নি তাদের বকেয়া ভাতা। বাড়ানো হয়নি ভাতাও। অপরদিকে এক বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক জানান, ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন যে সংখ্যালঘুদের মাঝে শিক্ষার প্রসারে বাংলার ১০,০০০ মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়া হবে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে খুব কম সংখ্যক মাদ্রাসা অনুমোদন পেয়েছে। তা নিয়ে ২০১৩ সালে সরব হয়েছেন অনুমোদনহীন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। অনশনও করা হয়েছে বহুদিন। কেবল মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু শেষে কোনও লাভই হয়নি। এমন কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করার চেষ্টাও করা হয়েছে। কোনওবারই সেই অনুমতি দেয়নি পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে এই পন্থা বেঁছে নিয়েছেন তারা বলে দাবি করেন সেই শিক্ষক। সাথে তিনি আরও বলেন,”হয় মরব , নয় দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এর সাথে কথা বলব।”

Advertisement

তারইমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওই শিক্ষামিত্র এবং বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকদের আদিগঙ্গা থেকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা জল থেকে উঠতে একেবারেই রাজি নন। এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির মতো কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে কীভাবে পুলিশের চোখ এড়িয়ে ওই পাঁচজন চলে এলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button