মহারাষ্ট্র সরকারের ‘মুখ্যমন্ত্রী Ladki Bahin Yojana প্রকল্পে ইলেকট্রনিক নো ইয়োর কাস্টমার (e-KYC) প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঠিক শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা এবং অযোগ্য ব্যক্তিদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকল্পের অধীনে প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ মহিলাকে মাসিক ১,৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, প্রায় ২৬.৩৪ লাখ অযোগ্য ব্যক্তি, যার মধ্যে পুরুষ এবং সরকারি কর্মচারীরাও অন্তর্ভুক্ত, প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এই অনিয়মিততা রোধ করতে সরকার e-KYC প্রক্রিয়া চালু করেছে।
ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মহিলাদের ladakibahin.maharashtra.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের আধার নম্বর দিয়ে প্রমাণীকরণ সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে, অন্যথায় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে। মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী আদিতি তাতকরে জানিয়েছেন যে, e-KYC প্রক্রিয়া শুধু এই প্রকল্পের জন্য নয়, ভবিষ্যতে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়া সহজ এবং সুবিধাজনক, যা প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকল্পের আওতায় ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মহিলারা, যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লাখ টাকার কম, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে, আগের পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, প্রায় ১৪,২৯৮ জন পুরুষ এবং ২,৬৫২ জন মহিলা সরকারি কর্মচারী অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সরকার এই অনিয়মিততা রোধ করতে e-KYC প্রক্রিয়া চালু করেছে, যা আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া আগামী বছরে পুনরায় সম্পন্ন করতে হবে, যাতে প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র প্রকৃত এবং প্রাপ্য ব্যক্তিরাই পান। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার প্রকল্পের স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে চায়, যাতে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা সময়মতো তাদের সহায়তা পেতে পারেন।