একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে ইতিমধ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩ আসন নিয়ে বাংলার মসনদে আগামী ৫ বছরের জন্য বসেছেন। তবে ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা বারংবার খবরের শিরোনামে এসেছে। নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে এই ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছে ১৬ জন মানুষ। ইতিমধ্যেই বিজেপি গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন গোটা দেশজুড়ে ধর্নায় বসেছিলেন। এছাড়াও বারবার বিজেপি দাবি করছে যে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতী বাহিনী বিজেপি কর্মীদের পরিবারের উপর হামলা চালাচ্ছে। এছাড়াও তাদের বাড়ি এবং দোকান ভেঙে দিচ্ছে।
আবারো এই হিংসার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির ৩ জনপ্রতিনিধি। তারা হলেন সদ্য নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কোয়েম্বাটুর এর বিজেপি বিধায়ক বনতি শ্রীনিবাস। অবশ্য কলকাতা পুলিশ এই তিন প্রতিনিধিকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার জন্য গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে লালবাজার থানায় নিয়ে যায়। অবশ্য কিছুক্ষণ বাদে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা বেআইনি জমায়েত করার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আসানসোল দক্ষিণ থেকে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি আজ সকালেই বিধানসভায় গিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, “মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। স্বপ্ন সত্যি হলো। তবে দল জিতলে আরো ভালো লাগতো।” এছাড়াও ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার প্ররোচনা করছে তৃণমূল। হিংসা ছড়াচ্ছে তারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যকে অশান্ত করতে চাইছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীকে বলবো হিংসায় লাগাম দিন।”