কলকাতানিউজ

তৎপর কলকাতা পুলিশ, সাতসকালে বাজি বিক্রি নিয়ে গ্রেফতার একাধিক

Advertisement
Advertisement

কলকাতা: হাইকোর্ট এবং গ্রিন ট্রাইবুনাল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ বছর দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাজি ফাটানো যাবে না। যার মধ্যে অন্যতম রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু সেসব নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেশ কয়েকটি বাজারে চলছে রমরমিয়ে বাজি বিক্রি। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সকলকে সচেতন করার জন্য মাইক দিয়ে জায়গায় জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। যাতে বাজি ফাটানো না হয়। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই গতকাল, শুক্রবার সল্টলেকের দত্তাবাদ এবং বড়বাজার থেকে বাজি সহ গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আজ, শনিবার কালীপুজোর সকালেই বাজি বিক্রি নিয়ে একের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার।

Advertisement
Advertisement

শুক্রবার সল্টলেকের দত্তাবাদ থেকে ৫০ কেজি বাজি সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে বড়বাজার থেকে ১২৫ কেজি বাজি সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কসবা থেকে ২৮ বছরের এক যুবককে ২৮ কেজি বাজি সমেত গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। অন্যদিকে, রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ আরও একজন ২৮ বছরের যুবককে ১০০ কেজি বাজি সমেত গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আশিস সাউ। নরেন্দ্রপুরের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা সে। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার শীতলা পার্কে সে বাজি বিক্রি করছিল। সেই সময় পুলিশ তাকে ফাদ পেতে গ্রেফতার করে। এখন প্রশ্ন উঠছে হাইকোর্ট এবং গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সেই নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আতশবাজির বিষাক্ত ধোঁয়া। বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি করোনার ভয়াল রূপ পুনরায় দেখা দিতে পারে। সে কারণেই বাজি ফাটানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তাও কিছু শ্রেণীর মানুষ সে কথা মানতে নারাজ। যার ফলে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বাজি না ফাটানোর কথা প্রচার করা হচ্ছে এবং যেখানে যেখানে বাজি বিক্রি হচ্ছে, সেখানে সেখানে পুলিশি তৎপরতায় এইসব বাজি বাজেয়াপ্ত করে গ্রেফতার করার ঘটনাও ঘটছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button