নিউজপলিটিক্সরাজ্য

মঙ্গলকোটে অনুব্রতের সভায় শোনা গেল ‘খেলা হবে’ গান, গানের সুরে মুগ্ধ শ্রোতা অনুব্রত 

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) খেলা হবে স্লোগানের পর এইবার শোনা গেল 'খেলা হবে' গান, গানের তালে নাচলেন দর্শকরা

×
Advertisement

গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ভোটের আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আগেই বলে রেখেছেন যে এইবার ভোটে খেলা হবে। তবে কী খেলা তা এখনও খোলসা করে বলেননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে তার পর থেকে প্রতি সভাতেই “খেলা হবে” এই কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলকোটের এক প্রচার সভায় গানটি বেশ তাড়িয়ে উপভোগ করলেন রীরভূমের শাসক শিবিরের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রাজনৈতিক প্রচার জমে উঠল লোকগানে।

Advertisements
Advertisement

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে দলীয় জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল নিজে খুব কম সময় ধরে বক্তব্য রাখেন। তারপর মাইক্রোফোন ছেড়ে দেন উপস্থিত লোকশিল্পী রথীন কিস্কুকে। এই দিন তারপরে শিল্পী গান ধরেন,”খেলা হবে রে।” গানের তালে তালে তখন নাচছেন শ্রোতা দর্শকরা। এক মুখ হাসি নিয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সে এক দেখার মতো দৃশ্য।

Advertisements

এদিন মাথরুন হাইস্কুল মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে ছিল মহিলাদের নিয়ে সমাবেশ। এই সমাবেশে উপস্থিত হন অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় চাঁছাছোলা ভাষায় বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) নিশানা করেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) বীরভূম সফর নিয়ে কটাক্ষ করে তার বক্তব্য,”প্রধানমন্ত্রী নাড্ডাকে মা তারার কাছে পাঠালেন। আর মা তারা ওকে জবাব দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিল। মানুষ ওদের চায় না। ওদের লজ্জা নেই।” এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও একহাত নেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তিনি আরও বলেন, “দিলীপ ঘোষ মা দুর্গার সম্পর্কে অনেক আজেবাজে কথা বলেছে। দিলীপ ঘোষের শরীরে মানুষের চামড়া নেই। গণ্ডারের চামড়া রয়েছে। মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না।”

Advertisements
Advertisement

এইদিন উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে অনুব্রত বার্তা দেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ভুল বুঝবেন না। তাহলে বাংলার ই ক্ষতি হবে। বিজেপি দিল্লিতে মিড ডে মিল এর ব্যবস্থা তুলে দিয়েছেন। আপনারা যতদিন থেকবেন। ততদিন চলবে সেই ব্যবস্থা।”অনুব্রত এইদিন জানান,”বিজেপি টাকা ছড়াবে আর আপনারা নিয়ে নেবেন। কিন্তু ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন। এরপর থেকে দলের যতগুলি মহিলা সমাবেশ হবে সবগুলি অনুষ্ঠানে থাকবে গানের অনুষ্ঠান। কারণ, মহিলারা বাড়ি থেকে বেশি বের হতে পারেন না কাজের চাপে। তাই তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

Related Articles

Back to top button