টলিউডবিনোদন

প্রয়াত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু

Advertisement
Advertisement

ফের সাহিত্যিক জগতে ছন্দপতন। প্রয়াত সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতে মারা গিয়েছেন সাহিত্যিক। মৃত্যুর সময় সাহিত্যিকের বয়স হয়েছিল ৫০। জানা গিয়েছে, বাথরুমে মাঝ রাতে জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। সকালে তাঁর মেয়ে গিয়ে সেই অবস্থায় দেখতেই বাড়িতে চিকিৎসক ডাকেন। এরপর চিকিৎসকরা শীর্ষবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement
Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরেই ডায়াবিটিসে রোগে ভুগছিলেন সাহিত্যিক মশাই। সোমবার রাত পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থই ছিলেন। সোমবার রাত নিজের ফেসবুকে এক দুর্যোগঘন কালো আকাশের ছবি শেয়ার করেছিলেন। শীর্ষবাবু লিখেছিলেন ‘ওরে ঝড় নেমে আয়’। এটাই ছিল তাঁর শেষ ফেসবুক পোস্ট। রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমোতে যান তিনি। রাত ১টা পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু এর মধ্যে রাত আড়াইটে নাগাদ এই সাহিত্যিকের জীবন শেষ। পাশের ঘরে থাকলেও কিছুই টের পাননি পরিবারের কেউই। ঘুমের মধ্যে তাঁর ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়।

Advertisement

শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ছিল শার্দূলসুন্দরী। এই উপন্যাস বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর একের পর এক উপন্যাস, ছোটগল্প এবং প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয় গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইথারসেনা, জলের ওপর দাগ, রমণীরতন। লেখা উপন্যাস ও ছেটগল্পও জনপ্রিয় ছিল পাঠকদের মধ্যে। তাঁর মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪টি।

Advertisement
Advertisement

সাহিত্যিক ছাড়া শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়ের আরো একটি পরিচয় ছিল। প্রায় এক দশক ধরে সাংবাদিকতার জগতের বিচরণ ছিল শীর্ষ বাবুর। তিনি কাজ করেছেন একাধিক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আজকাল পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জার্মানিতে দয়চেভেলে বেতারের বাংলা বিভাগেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সাহিত্যিক মহল ও সাংবাদিক মহল।

Advertisement

Related Articles

Back to top button