নিউজপলিটিক্সরাজ্য

রাজ্যপালকে দেওয়া হলো না গার্ড অফ অনার, আবারো রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাত চরমে

×
Advertisement

আবারো প্রকাশ্যে এলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের মধ্যে সাংবিধানিক সংঘাত। এদিন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর অভিযোগ করলেন, যে তাকে গার্ড অফ অনার তুলে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তিনি করলেন সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার একটি কাজে কোচবিহারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার তাকে উপযুক্ত সন্মান দেয়নি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে গার্ড অফ অনার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। কিন্তু এবার, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি।

Advertisements
Advertisement

রাজ্যপাল জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে কোনরকম গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি তাকে যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি। আর এই ঘটনার পরেই আবারো একবার প্রকাশ্যে এল মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সংঘাত। কোচবিহারের সফরের কথা আগেই টুইট করে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার কর্মসূচি শুরুতে তিনি আগে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। মাল্যদান করতে তিনি সস্ত্রীক গিয়েছিলেন। এছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সংসদ নিশিথ প্রামাণিক। তারপর সেখান থেকে চলে যান মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে গিয়ে তিনি পুজো দেন। এরপর কোচবিহারের রাজবাড়ি ঘুরে দেখার পরে তিনি সরাসরি পৌঁছান সার্কিট হাউসে সাংগঠনিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে।

Advertisements

কিন্তু, রাজ্যপালের অভিযোগ, এই সমস্ত কর্মসূচির মাঝখানে তাকে সম্মান জানানোর জন্য গার্ড অফ অনার একবারও দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরাসরি অভিযোগ করেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। টুইট বার্তায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ” কোচবিহারের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তার সমস্ত প্রোটোকল লংঘন করেছেন। পাশাপাশি, আমাকে কোনরকম গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়নি। ডিএম এবং এসপি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।”এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন।

Advertisements
Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর রাজ্যপাল উত্তর বঙ্গের মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে সকলেই অনুপস্থিত থাকায় উপাচার্যদের আচরনের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। ওই উপাচার্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।

Related Articles

Back to top button