ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

আর দরকার নেই হোটেল এবং OYO রুমের, এবার ভারতীয় রেল চালু করল রুম রেন্ট পরিষেবা

ভারতীয় রেলের এই সমস্ত রুম আপনি গ্রহণ করতে পারেন যদি আপনার ট্রেন দেরি করে আসে

×
Advertisement

ভারতের লাইফ লাইন ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিদিন ভারতের বহু মানুষকে কানেক্ট করার জন্য একটা দারুন মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা এবং সামাজিক সমস্ত কাজের জন্য মানুষ ভারতীয় রেলের সার্ভিস ব্যবহার করেন। তবে অনেক সময় এমন হয় যে ভারতীয় রেলের সার্ভিস ভালো হলেও কুয়াশা অথবা রেলে লাইনের সমস্যার কারণে ট্রেন চলছে কিছুটা দেরি করছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেলের তরফ থেকে কিছু রেস্ট রুম অথবা ওয়েটিং হল তৈরি করা হয়েছে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় শুধুমাত্র ওয়েটিং রুম তৈরি করে কাজ হয় না। এর থেকে বেশি কিছু দরকার পরে কোন কোন সময়। সম্প্রতি এরকমই একটি নতুন সার্ভিস শুরু করেছে ভারতীয় রেলওয়ে, যেখানে খুব সহজেই আপনি রুম রেন্ট করে কিছুক্ষণের জন্য সেখানে থাকতে পারবেন। আর এই পরিষেবা নিয়ে আসা হয়েছে তিনটি এসি শ্রেণীর মানুষদের জন্য।

Advertisements
Advertisement

এর আগে পর্যন্ত এই পরিষেবা একেবারে ফ্রি থাকলেও এখন প্রতি ঘন্টায় আপনাকে ১০ টাকা করে দিতে হবে এই পরিসেবা ব্যবহার করার জন্য। একজন ওয়েটিং রুম অপারেটার দীনেশ কুমার বলছেন, এই সিস্টেমটি চালু করা হয়েছিল তিন বছর আগে এবং এখনো পর্যন্ত প্রাইভেট সেক্টর এর হাতে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে এই পরিষেবার জন্য। এই মুহূর্তে দিল্লির বেশ কয়েকটি স্টেশনে এই পরিষেবা চলছে। এই পরিষেবা পাওয়া যাবে দিল্লির হযরত নিজামুদ্দিন, নতুন দিল্লি এবং ওল্ড দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে। পিএনআর নম্বরের ওপর ভিত্তি করে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। প্রতি ঘন্টায় দশ টাকা করে খরচ হবে এর জন্য।

Advertisements

তিনি আরো বললেন, এর আগে পর্যন্ত এই ধরনের ওয়েটিংরুমে ক্যান্টিন ফ্যাসিলিটি ছিল না। এর ফলে মানুষদের খাবার খাওয়ার জন্য বাইরে যেতে হতো। তবে যবে থেকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাইভেট কোম্পানিগুলির হাতে এই ওয়েটিং রুমের টেন্ডার রিলিজ করেছে, তবে থেকে কিন্তু এই ধরনের ওয়েটিং রুমে ক্যান্টিন সেটাপ করার কাজ শুরু হয়েছে। এই ধরনের ক্যান্টিন থেকে মানুষজন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারেন। আর সবথেকে বড় কথা হলো এই ধরনের ক্যান্টিন একেবারে পরিষ্কার এবং হাইজেনিক। মানুষজনের কথা ভেবে দিল্লির বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে ইতিমধ্যেই এই নতুন বিষয়টি ইমপ্লিমেন্ট করার কাজ শুরু হয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা হল এই ওয়েটিংরুমে ট্রেনের আসার সময়ও আপনারা দেখতে পাবেন সেই ঘরে বসেই। ফলে বিষয়টা সবদিক থেকেই অত্যন্ত লাভজনক

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button