সোশ্যালে মিম

নন্দী পড়েছে এক মহাসংকটে, এবার কি করবে নন্দী?

Advertisement
Advertisement

আর পাঁচটা মেয়ের মতো উমা এক বছর পরে যান তার বাপের বাড়ি মর্ত্যে। সেখানে তিনি চারদিন ধরে ধুমধাম করে পূজিত হন। শুধু উমা ই নয় তার চার সন্তান, তার বাহন এরাও সাথে সাথে পরিচিত হন মর্ত্যলোকে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে শিব দেব দেবীর মধ্যে সবচেয়ে প্রধান দেবতা। শিব হলেন সর্বশক্তিমান। শিবের মন্ত্র ছাড়া যে কোন পুজোই যেন অসম্পূর্ণ। আর অন্যদিকে শিবের একমাত্র একনিষ্ঠ ভক্ত হলেন নন্দী। তিনি শিবের কথা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন । এদিকে উমার কথা তিনি ফেলতে পারেন না।

Advertisement
Advertisement

বাপের বাড়ি যাওয়ার সময়, বাঙালি ঘরের প্রত্যেকটি মেয়েই শ্বশুর বাড়ির মানুষজন গুলোর যাতে কোন অসুবিধা না হয় বিশেষ করে পতি দেবতা টির,সে যেন সব ঠিকঠাক করে খাওয়া-দাওয়া করে এবং কেউ না থাকার ছুতোয় যেন বেশি নেশা ভাং না করে সেই নিয়ে সদা চিন্তিত থাকেন। এদিকে বাপের বাড়ি না গেলেই নয়, সেখানেও তো মা বাবা কত দিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন তাদের কন্যাকে, নাতি নাতনি কে দেখবেন বলে। সব দিকটাই সামলাতে হয় উমাকে।

Advertisement
Photo Source : Bhottobabur page – ভট্টবাবুর Page

তাই তিনি নন্দীর উপর দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি যেন মহাদেবের দেখাশোনা করেন এবং মহাদেব কে যেন বেশি গাঁজা খেতে না দেন, কারণ মহাদেবের শরীরটা ভালো নেই। দুর্গা তো তার মতন করে ভেবে যাচ্ছেন কিন্তু মহাদেব এর কি আর গাঁজা ছাড়া চলে? মায়ের কথায় নন্দী মহাদেব কে গাঁজা দেবেন না এমন কথা বললেও শিব কিন্তু তাকে মাস গেলে মাইনে কেটে নেবে এমন ভয় দেখিয়ে দেয়। নন্দী পড়েছে মহাসংকটে। তিনি মায়ের কথা ও ফেলতে পারেন না, আর বাবার চোখরাঙানি কেউ অগ্রাহ্য করতে পারেন না। এইসব চিন্তা মাথায় নিয়েই মা চলেছেন মর্ত্যের পথে।

Advertisement
Advertisement

কাল্পনিক জগৎ থেকে যদি আমরা বাস্তবে ফিরে আসি, প্রতি ঘরে ঘরে মেয়েরা যখন বাপের বাড়িতে আসে পুজোর সময়, তাদের স্বাভাবিক জীবনে চলা স্বামী হোক বা নেশা ভাং করা চরিত্রহীন স্বামী হোক চিন্তা কিন্তু তাদের থেকেই যায়। বাপের বাড়িতে এলে ও মন পড়ে থাকে কিন্তু সেই মানুষটার দিকেই।

কিন্তু মেয়েরা এসব বুঝতে দেন না কিছুই। মা-বাবার সামনে যতই মন ভারাক্রান্ত থাক তাও কিন্তু তারা হাসিমুখে এই চারটে দিন কাটিয়ে যায়। তাই বলতেই হয় “আমরা নারী আমরা পারি”

Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী

Advertisement

Related Articles

Back to top button