নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“২১ এর নির্বাচনে গাফিলতি হলেই আধিকারিককে করা হবে অপসারণ”, সিদ্ধান্ত কমিশনের

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গাফিলতির অভিযোগ এলেই এইবার সংশ্লিষ্ট অধিকারিককে সরিয়ে দেবে কমিশন, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র হবে

Advertisement
Advertisement

শোকজের উত্তরের জন্য অপেক্ষা নয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গাফিলতির অভিযোগ এলেই এইবার সংশ্লিষ্ট অধিকারিককে সরিয়ে দেবে কমিশন। ২১ এর বিধানসভা ভোটে পরিচালনায় কমিশন এতটাই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের সূত্রের খবর। ২য় দফায় বাংলায় এসে এইদিন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সাথে বৈঠক করেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, বৈঠকে প্রশ্নবাণে কার্যত জেরবার হতে হয়েছে কলকাতা এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে। কেবল ৬ মাসের পরিসংখ্যান না, তাদের কাছে ২০১৯ এমনকি ২০১৬ এর ভোটের আগের পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার।

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের বাংলার চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। নির্বাচনের ময়দানে যুদ্ধ ছাড়া এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চাইছেনা শাসক শিবির এবং পদ্ম শিবির। মিটিং মিছিলে চলছে প্রচার। সাথে বাড়ছে সংঘর্ষের ঘটনাও। একুশের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে তো? সেই কারণেই প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেনা কমিশন। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, মে তে নয়। এই এপ্রিল মাসেই বিধানসভা ভোট হতে পারে বাংলায়। করোনা পরিস্থিতিতে দরকারে বুথ সংখ্যায় বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

Advertisement

নির্বাচন খতিয়ে দেখতেই এইবার ভোটের আগে বাংলা সফরে এসেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খোঁজখবর নেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। আজ সকালে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার এবং কমিশনারের সাথে ম্যারাথন বৈঠক করেন উপ নির্বাচন কমিশনার। গত ৬ মাসে এলাকায় রাজনৈতিক গন্ডগোল, অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পেশ করেন পুলিশ কমিশনাররা। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি উপ নির্বাচন কমিশনার। উল্টে তিনি জানতে চান, ২০১৯-র লোকসভা ভোটে ও ২০১৬০র বিধানসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি কেমন ছিল? বস্তুত, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আগামীকাল ফের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খবর।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button