নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“অনেক কাজ করার পরও একটাও আসন পাইনি, ভোট আসলেই অঙ্কটা বদলে যায়,” আক্ষেপ মমতার

মালদায় এসে আসন না পাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)

Advertisement
Advertisement

“মালদায় অনেক কাজ করার পরেও আমাদের ঝুলি শূন্য। একটাও আসন পাইনি মালদায়।” এই দিন ইংরেজবাজারের কর্মীসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গলায় ঝরে পড়ল আপেক্ষ। এর সাথে আত্মবিশ্বাসের সাথে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, “তবে এইবার আমরা আর খালি হাতে ফিরব না। এই ভোটটা আমার ভোট। আর কারও নয়। একই সাথেইংরেজবাজারে দাঁড়িয়েই এইদিন তিনি ঘোষণা করেন, “মমতাকে হারানোর ক্ষমতা তোমাদের নেই। জীবন থাকতে আমি বিজেপিকে আসতে দেব না। বাংলায় জিতে ভারত বর্ষকেও দেখব।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় শাসক শিবিরকে । একটি আসনও পায়নি ঘাসফুল শিবির। ৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭টি আসনে গেরুয়া শিবির জয়লাভ করে। আর মালদার ২ কেন্দ্রে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। এদিন ইংরেজবাজারের সভাতে সেই সূত্র ধরেই আসন্ন বিধানসভা ভোটে শাসক শিবিরকে জয়যুক্ত করার জন্য মালদাবাসীকে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “আমি মালদার জন্য অনেক করেছি। কিন্তু ভোট এলেই মালদার রাজনৈতিক অঙ্কটা বদলে যায়। কিন্তু এবার খালি হাতে ফিরব না।”

Advertisement

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতকা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সরকারি কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, এক লাখি বালুর ঘাট টেন করা হয়েছে। লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছিল বাংলার যে সমস্ত মানুষ। তাদের ঘরে ফেরার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পে মানুষকে বিনে পয়সায় রেশন দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিনে পয়সায় চিকিত্সার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হয়েছে। যারা ট্যাব পায়নি, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ লাখ সাইকেল দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, রাজ্য় সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button