মিমি চক্রবর্তী। ১১ বছর আগে জলপাইগুড়ি থেকে অভিনয় করার জন্য বাড়ি থেকে মিথ্যে বলে কলকাতায় পালিয়ে আসা। তারপর দীর্ঘদিন মিমি স্ট্রাগেল করার পর আজ সফল অভিনেত্রী হয়েছেন। প্রথমে মডেলিং, তারপর ধারাবাহিক এরপর সিনেমাতে অভিনয় করে আজকের সকলের চেনা হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। এখন টলিপাড়ার প্রথম শ্রেণীর অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন মিমি। সাথে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। এখন যাদবপুরের সাংসদ তিনি।এখন হাজার স্ট্রাগেল পেরিয়ে একজন সফল নারী।
এসবের পাশাপাশি নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ সক্রিয় অভিনেত্রী৷ অনুরাগীর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। টলিউডের অভিনেত্রীদের নমধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার্স সংখ্যা তাঁর। এই বঙ্গ ললনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বহু পুরুষ। তবে মিমির মনের মানুষ কে তা এখনো অজানা৷ তবে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সাথে কিছু সময়ে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তবে সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্রেক-আপের পর থেকে তিনি এখনো সিঙ্গেল। মাঝে তুরস্কের লাইন প্রোডিউসার মিলি গুলহানের সঙ্গে মিমির প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল তবে কেউই এদের মধ্যে এই সম্পর্কের শিলমোহর দেননি।
সম্প্রতি ক্যালকাটা টাইমস পত্রিকার সমীক্ষায় আম জনতার ভোটে টলিউডের সহচেয়ে ‘কাঙ্খিত’ হিরোইনের তকমা পেয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। ল্রিয় অনুরাগীদের বিচারে সবচেয়ে কাঙ্খিত হতে পেরে তিনিও বেশ আনন্দিত। ক্যালটাইমসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছেন, তাঁর স্বপ্নের পুরুষ কেমন হবে সেই কথা। মিমি প্রথমেই বলেছেন, তাঁর মনের মানষকে একজন ভালো মনের মানুষ হতে হবে। তাঁর যে খুব রুপ থাকতে হবে তা কিন্তু নয় আর তাঁকে অভিনেত্রীর বেস্ট ফ্রেন্ড হতে হবে। যাকে তিনি নিজের সব কথা খুলে বলতে পারবেন।
অভিনেত্রী আরো বলেন, কোন পুরুষ তাঁকে নিয়ে কী ভাবছে সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর কাছে জরুরি যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি সত্যি হাঁটু মুড়ে বসছে তাঁর জন্য? এর অর্থ অন্যান মেয়েদের মতো নিজের মনের মানুষের কাছ থেকে প্রেম প্রস্তাব পেতে আগ্রহী অভিনেত্রী মিমিও সেই বার্তা কিন্তু স্পষ্ট ভাবে তিনি বলেছেন। অভিনেত্রীকে নিজের এক্স ফ্যাক্টর জিজ্ঞাসা করাতে মিমি উত্তর দিয়েছেন, এর উত্তর তিনি না জানলেও তিনি মনে করেন খুব তাড়াতাড়ি ভালোবাসা ছাড়িয়ে দিতে পারেন অভিনেত্রী। আর সেই ভালোবাসাই তিনি বার বার ফিরে পান।