নিউজ

হাথরস কাণ্ডে দলিত কন্যার দেহ পোড়ানোর দায় নিলেন হাথরসের জেলাশাসক পরভিন কুমার লক্সর

Advertisement
Advertisement

গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই নিয়ে এখন এমনিতেই সারা উত্তরপ্রদেশ তোলপাড়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।  ইতিমধ্যেই রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ পোড়ানোর সম্পূর্ণ দায় নিয়ে নিলেন হাথরসের জেলাশাসক পরভিন কুমার লক্সর।

Advertisement
Advertisement

তিনি জানিয়েছেন, জাতপাতের বৈষম্য নিয়ে উত্তেজন ছড়ানোরও আশঙ্কা ছিল। এছাড়া প্রশাসনের কাছে গাপন সূ্ত্রে খবর ছিল, কেউ বা কারা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এমনকি নির্যাতিতার দেহে পচন ধরতেও শুরু হয়েছিল। এইসব ভেবেই তিনি দেহ পুড়িয়ে দেন।

Advertisement

অন্যদিকে জেলাশাসকের দাবি উড়িয়ে নির্যাতিতার আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা প্রশ্ন করেছেন, কোন যুক্তিতে নির্যাতিতার দেহ তাঁর বাড়ির লোককে একবারের জন্যও দেখতে দেওয়া হয় না? এর কারণ কি? গতকালই সংবাদ সংস্থাকে আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা জানান, “নির্যাতিতার পরিবারের দাবি সিবিআইয়ের রিপোর্ট গোপন রাখা হোক, মামলা উত্তরপ্রদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হোক এবং মামলা যত দিন না শেষ হয় ততদিন নির্যাতিতার পরিবারকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিক প্রশাসন”।

Advertisement
Advertisement

কিছুদিন আগেই হাথরস-কাণ্ডে ওই দলিতকন্যার পরিবারকে যেন যথোপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হয় সেকথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি এই কাণ্ডে যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী তাঁদেরও সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। সকলের অগোচরেই যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হাথরস-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল।

Advertisement

Related Articles

Back to top button