দেশনিউজ

আশার আলো দেখছে দেশবাসী, প্লাজমা টেস্টে সুস্থ শ্রুতি, জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা

×
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও কিছু না কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইদানিং এর চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি একটু আশার আলো দেখাচ্ছে। ২৩ বছরের শ্রুতি ঠাক্কর। যিনি গুজরাটের আমেদাবাদে থাকেন। গুজরাট রাজ্যে তিনি প্রথম প্লাজমা দ্বাতা। শ্রুতি তার মাস্টার ডিগ্রী করতে গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। ফ্রান্সে তখন করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছিল।ঠিক সেই সময় তিনি বলেন তিনি নিজেকে খুব দুর্বল মনে করছিলেন। তখন থেকেই ভাবছিলেন দেশে ফিরে আসবেন। অবশেষে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ তিনি বাড়ি ফিরে আসতে চান।

Advertisements
Advertisement

শেষ পর্যন্ত তিনি ভারতে আসেন। কিন্তু তিনি যে শারীরিকভাবে খুব একটা ভালো নেই সেটা তিনি জানান। বিমানবন্দর থেকে তাকে সিভিল হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয়, এটি করোনা ভাইরাস না, এটি সাধারণ জ্বর। তারপর তাকে বাড়িতে বিশ্রাম নিতে বলা হয়। পরের দিনই তার জ্বর, সর্দি-কাশি বাড়তে থাকে যার ফলে তিনি আবার হাসপাতালে যান। তিনি জানান ” আমি যে সময়টা জানতে পারি আমার করোনা ভাইরাস হয়েছে, সে সময়টি হল রাত এগারোটা। আর তৎক্ষনাতই আমাকে যেখানে করোনা ভাইরাস এর রোগীরা আক্রান্ত সেই জায়গাতে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। আর এই সময়টা ছিল খুবই কঠিন পরিস্থিতি।” হাসপাতালের পরিষেবা তার খুব ভাল লেগেছিল। বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল। চিকিৎসার পর ১৭ দিন যাওয়ার পর অবশেষে তাকে করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়।

Advertisements

পরে প্লাজমা দেওয়ার জন্য তিনি আবারও হাসপাতালে যান। তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ কিনা তা দেখার জন্য তাকে আবারো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। তার পুরো শরীর স্যানিটাইজ করা হয়। তার জন্য তাকে একটি স্যানিটাইজার ঘরে রাখা হয়েছিল। তাকে একটি চেয়ারে বসতে বলা হয়েছিল। তারপর তার শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়। ডাক্তাররা সেই রক্ত থেকে একটি আলাদা ব্যাগে প্লাজমা আলাদা করে নিয়েছিলেন। তারপরে সেই রক্ত আবার তার শরীরে দেওয়া হয়।

Advertisements
Advertisement

তিনি বলেন, তার শরীরের এই রক্তটি আবার দেওয়ার সময় তিনি শুধু একটু ঝাকুনি অনুভব করেছিলেন। পুরো পদ্ধতিটা এ ছিল ভীষণ সহজ, এমনটাই জানিয়েছেন শ্রুতি। এই পদ্ধতিটি চলার পরে তাকে যথেষ্ট পরিমাণে লিকুইড খাবার এবং ভিটামিন দেওয়া হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসা কর্মীদের তরফ থেকে। একই সময় শ্রুতি দুজন রোগীদের হসপিটালে ভর্তি ছিলেন তাদেরকে প্লাজমা দিয়েছেন। যার মধ্যে একজন ছিলেন ৫০ বছরের একজন বৃদ্ধ। শ্রুতির জন্য আমরা প্রত্যেকে গর্ববোধ করি। ২৩ বছর বয়সে সে যা করেছে তা সত্যিই কুর্নিশ জানাবার মত ঘটনা।

Related Articles

Back to top button