রাজ্যপাল ও রাজ্য সংঘাত প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। এবার আবারো বিস্ফোরক টুইট করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে রাজ্যে কোথায় কি হচ্ছে সেই সমস্ত তথ্য তিনি জানতে চাইলে রাজ্য সরকার তাকে বিস্তারে কিছু জানাচ্ছে না। আর এতেই তিনি বেজায় চটেছেন। তার রাজ্য সম্পর্কে সমস্ত তথ্য চায়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে একাধিকবার তথ্য চেয়ে পাঠালেও তার কোনো সদুত্তর মেলেনি। সে কারণে এবার রাজভবনে ডাক পড়লো রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্য সচিবের।
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্য সরকারকে আক্রমন করে সরাসরি টুইট করেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, “এর আগে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আমি একাধিকবার একাধিক তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোন তথ্যই দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি রাজ্য সরকার। সেই কারণেই তলব করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাকে।” রাজ্যপাল টুইটে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন “আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে রাজভবনে আসতে হবে।”
Constrained in public interest to call upon CS @MamataOfficial & DGP @WBPolice to see me not later than Dec 12
Their continued non responsive stance and failure to update me on affairs of state tantamounts to shredding all canons of governance in accordance with constitution. pic.twitter.com/i3sSkir5Ef
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 8, 2020
অবশ্য রাজ্যপালের ট্যুইটের পর রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি শ্রী বরেন্দ্র রাজভবনে যাওয়া নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এখনো অব্দি তারা আদৌ যাবে নাকি সেই নিয়ে কোনো তথ্য নেই। এর আগেও বারংবার রাজ্যপাল রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্তাকে ডেকে পাঠায় টুইট করে। শেষবার সদ্য মুখ্য সচিবের দায়িত্ব প্রাপ্ত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের সাথে বৈঠকে বসে ছিলেন। বৈঠকে একাধিক ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছিল বলে রাজভবন সূত্রের খবর। তবে তাদের কি বিষয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি।
আগামী বৈঠকে রাজ্যপাল হয়তো মুখ্য সচিব ও পুলিশ ডিজির সাথে রাজ্যের করো না পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই সাথে নির্বাচনের আগে রাজ্যে যেমনভাবে হিংসা পাল্লা দিয়ে বাড়ছেতার প্রতিকার কি করা যায় তা নিয়ে হইতো আলোচনা করবেন তিনি। তিনি বরাবর রাজ্যে চলা অরাজকতার বিরুদ্ধে গলায় সুর তোলেন। এবার বৈঠক হলে আদেও মুখ্য সচিব ও পুলিশ ডিজি যাবে নাকি বা গেলে কি নিয়ে আলোচনা হবে সেটাই দেখার।