দেশনিউজ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান, দিল্লি ঢোকার মুখে পাঁচটি রাস্তা অবরোধের ডাক আন্দোলনকারী কৃষকদের

Advertisement
Advertisement

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, কেরালা থেকে হাজার হাজার কৃষকরা কৃষক আন্দোলন করছে। পায়ে হেঁটে ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দিয়েছে হাজার হাজার কৃষক। আর সেই কৃষকদের আটকাতে হরিয়ানায় পুলিশরা যেভাবে লাঠিচার্জ করে শীতের মধ্যে জলকামান ছুঁড়েছে, তাদের ধিক্কার জানিয়েছে গোটা দেশ। আর সেই জলকামানের মুখোমুখি হয়েছেন এক বীর সাহসী যুবক। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া মাত্র তাকে ‘হিরো’ তকমা দেওয়া হয়েছে। তারপর কৃষক আন্দোলন থামানোর জন্য দিল্লিতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সেই আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। উল্টে দিল্লি ঢোকার মুখে পাঁচটি রাস্তা অবরোধ করার ডাক দিয়েছেন তারা। এমনকি এটাও জানিয়েছেন যে, সরকারের নির্ধারিত জায়গায় বসে তারা আন্দোলন করবেন না।

Advertisement
Advertisement

শনিবার অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘সরকার যে কোনও সময় আলোচনার জন্য তৈরি। আপনারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করবেন না। পুলিশের চিহ্নিত করা জায়গায় বসে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন। কৃষিমন্ত্রী আগামী ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসতে চান। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিভিন্ন কৃষক ইউনিয়নের ডাকে যারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, তারা এই জায়গা থেকে সরে আসুন। আপনারা যদি তার আগে অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে বলব, আমরা তাতেও রাজি। কিন্তু সরকারের নির্দিষ্ট করা জায়গায় বসে আপনারা যেদিন আন্দোলন করবেন, তার পরদিনই আমরা আলোচনায় বসব। এতে আপনাদের সুবিধা হবে এবং রাস্তায় যাতায়াতকারীদেরও সুবিধা হবে।’

Advertisement

Advertisement
Advertisement

তবে কৃষকরা এতটুকু সরকারকে বিশ্বাস করছে না। ভারতের কৃষক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই নিয়ে গতকাল, রবিবার বৈঠক করার কথা ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্রান্তিকারী ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের নেতা সুরজিৎ সিং বলেছেন, ‘সরকার আমাদের বুরারি পার্কে যেতে বলেছে। আমরা যাব না। ওটা একটা খোলা জেল। আমাদের যন্তরমন্তরে যেতে দিতে হবে। সরকারকে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে।’

এদিন এর পাশাপাশি আরও তিনটে দাবি কৃষকদের তরফ থেকে করা হয়েছে। সেগুলি হল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও ফসল কেনার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, বিদ্যুৎ দিয়ে যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করতে হবে এবং নাড়া পোড়ানোর জন্য যে জরিমানা করা হয়েছিল, তা তুলে নিতে হবে। এখন সরকার আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে করা এই সকল দাবি মেনে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করে কিনা, সেটাই দেখার।

Advertisement

Related Articles

Back to top button