নিউজরাজ্য

১৮৮ বছর আগের অপরূপ যেন ফিরে পেয়েছে দীঘার সমুদ্র সৈকত

Advertisement
Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার, দীঘা: করোনার সংক্রমণ এড়াতে দেশ জুড়ে চলছে তৃতীয় দফার লক ডাউন। আর এই লক ডাউনে প্রকৃতি যেনো প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিচ্ছে। রাস্তায়, ভ্রমণ স্থানগুলিতে থমকে গিয়েছে মানুষের কোলাহল। আর এই লক ডাউনে দীঘার চিত্রটিই বা কেমন! কম সময়ে, কম পয়সায় বাঙালির সপ্তাহের শেষে বা প্রেমের প্রথম ঘোরার স্থান সমুদ্র সৈকত দীঘা। রাশি রাশি সমুদ্রের জল কোলাহলহীন সমুদ্রের পাড়ে এসে আবার ফিরে যাচ্ছে। চারিদিক চুপচাপ, শুনশান নিরবতা। যেনো মনে হচ্ছে বড়োলাট ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে ফিরে গিয়েছে দীঘা।

Advertisement
Advertisement

সালটি ১৭৭৪, হাতির পিঠে করে একটি সমুদ্র সৈকত খুঁজছিলেন হেস্টিংস। এরপর তিনি দীঘার সন্ধান পান ও সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্যের প্রতি মুগ্ধ হয়ে নিজের স্ত্রীকে চিঠিতে লেখেন, ‘দুর্দান্ত এক সমুদ্র সৈকতের খোঁজ পেয়েছি, এই স্থান আমি বিখ্যাত করে দিয়ে যাব।’ এরপর ১৯২৩ সালে দীঘায় আসেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ফ্রাঙ্ক স্মেইথ। এরপর তিনি দীঘার সমুদ্র সৈকতকে আরও উন্নত করে তুলতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধানচন্দ্র রায়কে চিঠি লিখতেন। একপ্রকার বাধ্য হয় কাজ শুরু করেন তিনি।

Advertisement

১৯৬২ সালে পুনরায় দ্রুত গতিতে কাজ এগোয় দীঘায়। কিন্তু এই নির্জন নিশ্চুপ দীঘার সৈকত দেখেই প্রেমে পড়েন হেস্টিংস। তখন ছিল না কোনো বাড়ি, মানুষের কোলাহল, গাড়ির শব্দ। বর্তমান দীঘার ছবিটিও শুধু বাড়িঘর গুলি বাদে সেই হেস্টিংসের আমলের মতই রূপ নিয়েছে। নিঃশব্দে নিজের আপন খেয়ালে ঢেউয়ের রাশি শব্দ করে পাড়ে এসে খেলে যাচ্ছে এই লক ডাউনে। যেনো সমুদ্র এখন কোয়ারেন্টাইনে কাটাচ্ছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button