অফবিটদেশনিউজমাইথোলজি

করোনা ভাইরাসে তীব্র সংকট ভারতে, কি বলছে জ্যোতিষ মহল? জানুন বিস্তারিত

Advertisement
Advertisement

কুণাল রায় : ‘কোরোনা’, ‘কোরোনা’ আর ‘কোরোনা’, ধ্বনিটি দিনদিনে এক প্রতিধ্বনি রূপ গ্রহণ করছে। সম্প্রতি এই বিশ্ববাসীর কাছে এক অতি তীব্র সংকট বহন করে এনেছে এই কোরোনা ভাইরাস, যার সাইন্টিফিক নাম: COVID-19। চলছে নানা গবেষণা, নানা চর্চা, নানা কথোপকথন এবং নিরাপদে থাকার বিভিন্ন উপায়। মেডিক্যাল সায়েন্স তার পথ অবলম্বন করে চলবে এবং আমাদের কিছুটা হলেও মানতে হবে তাদের কথা, উপদেশ বা গাইডলাইনস, যাই বলিনা কেন!

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে কিছু এমন মানুষ আছেন যারা এই বিষয়টির উপর এক ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। আমাদের অতি পরিচিত জ্যোতিষ মহলে এই নিয়ে কম আলোচনা নেই। তবে কি বলছে তাঁরা?কতদিনে কাটবে এই সংকট? কবে আমরা মুক্ত হব এই কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে? কবেই বা জীবন তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজব আজ আমরা।

Advertisement

আমরা এই ব্যাপারে অবগত যে জ্যোতিষ এক বৃহত্তম ক্ষেত্র। যে কোনো বিষয় এক সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নেয় এই শাস্ত্র। কোরোনা ভাইরাসও এর ব্যতিক্রম নয়। এই নিয়েও কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য উঠে এসেছে এরই মধ্য! জ্যোতিষ মতে দেবগুরু বৃহস্পতি বর্তমানে ধনু রাশিতে বিরাজমান। ঠিক তার উল্টো ঘরে রাহু মহারাজ মিথুন রাশিতে তুঙ্গ। এদের পরস্পরের দৃষ্টির বিনিময়ে দেখা দিয়েছে এই ভয়ংকর ব্যাধি, যা এক আন্তর্জাতিক মহামারী রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে!

Advertisement
Advertisement

এই বৃহস্পতি আগামী ২৯ শে মার্চ তাঁর নীচস্ত ঘর মকর রাশিতে গোচর করবেন। নির্মিত হবে নীচ ভঙ্গ রাজযোগ। এরপর থেকেই প্রকোপ হ্রাস পেতে শুরু করবে। পরবর্তী সময়ে, সূর্যদেব যখন তাঁর তুঙ্গ ঘর মেষ রাশিতে গোচর করবেন, আগামী ১৫ই এপ্রিল, পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। সূর্যের তেজ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এই মারণ ভাইরাসও বিলুপ্ত হবে। তবে এখানেই শেষ নয়। আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ ঠিক আজ থেকে ছ মাস বাদে, রাহু মহারাজ মিথুন রাশি থেকে বৃষ রাশিতে গমন করবেন। এই গোচরের পর থেকেই পৃথিবীর বুক থেকে চিরবিদায় নেবে এই COVID -19

আমরা সীমাবদ্ধ জীব। অসীমকে জানবার ইচ্ছা প্রবল। কিন্তু এই অসীমের মধ্যই লুকিয়ে আছে এই সৃষ্টির রহস্য ভান্ডার। আমাদের বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র এর অন্যতম। মাস্ক, ওষুধ, প্রতিষেধক, নিরাপত্তা, সাবধানতা- সবই বর্তমান, কিন্তু এই মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রদের ভূমিকাও অস্বীকার করা যায় না। অন্তিম সিদ্ধান্ত যে তাঁরাই নেই! তাই আজ আতঙ্ক নয়। চাই একটু ধৈর্য। চাই একটু সহযোগিতা। কালের অমোঘ নিয়মে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। যা প্রাকৃতিক নিয়মে এসেছে, তা প্রাকৃতিক নিয়মেই চলে যাবে। প্রতি একশ বছর অন্তর এ এক প্রকৃতির লীলা, গ্রহ তারার অভিলাষ। ততক্ষণ একটু আস্থা, একটু বিশ্বাস!!

Advertisement

Related Articles

Back to top button