আন্তর্জাতিকনিউজ

চিনে করোনামুক্তি ‘আয়ুর্বেদে’, ভারতেও চলছে আয়ুর্বেদের গবেষণা

Advertisement
Advertisement

ভেষজ উপায়কে অর্থাৎ আয়ুর্বেদকে কাজে লাগিয়ে সফল হচ্ছে চিন,এই ব্যাপারে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। চিনা গবেষণাপত্রটি ৪ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে ‘এলসভিয়ার’ নামক মেডিক্যাল জার্নালে। সেই গবেষনাপত্রটি আপলোড হয়েছে ‘সায়েন্স ডাইরেক্ট’ জার্নালেও। হেইলংজিয়াং ইউনিভার্সিটি অফ চাইনিজ মেডিসিন’-এর তিন জন বিজ্ঞানী জান-লিং রেন, আই হুয়া ঝাং এবং ঝি-জান ওয়াংয়ের সম্মিলিত গবেষণাটি করছেন।

Advertisement
Advertisement

ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে ২০০৩-এ সার্স সংক্রমণের সময় ক্বাথ খেয়ে সুস্থ হয়েছিল বহু রোগী।
বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আয়ুশ সচিব ডা. রাজেশ কোটেচা বলেন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে তিনি এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন। তিনি দেশের সব আয়ুশ হাসপাতালের কাছে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন, চিঠি পেয়েছেন ১৬টি আয়ুশ হাসপাতালের অধ্যক্ষও। করোনা আক্রান্তদের নিরাময়ের পরিসংখ্যান, সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।তাতে স্পষ্ট ওষুধের গুণে ধীরে ধীরে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে।

Advertisement

শীঘ্রই জাতীয় প্রটোকল তৈরি হবে আয়ুর্বেদ এর দ্বারা কিভাবে করোনা কে নিয়ন্ত্রনে আনা যায় সেই বিষয়ে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। চীনের তিন বিজ্ঞানীর দাবি আয়ুর্বেদিক ওষুধে মিলছে সুফল। তবে আয়ুর্বেদিক এই ওষুধটি খুবই সাধারণ উপাদান আদা, হলুদ, দারচিনি, যষ্টিমধুর মতো প্রায় ১২টি ভেষজ-মশলা মিশিয়ে তৈরি করা ক্বাথ। যা খেতে করোনা আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠেছে । ফুসফুসের সংক্রমণও কমছে। চিনা গবেষকরা জানিয়েছে তারা বিশ্বাসী ভেষজ প্রথাগত বা প্রচলিত ওষুধে, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, প্রায় ১২টি ভেষজের সমাহারে একটি পাঁচন বানিয়ে তা করোনা আক্রান্ত ৭০১ এর উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল, যাতে দারুণ সুফল মিলেছে।

Advertisement
Advertisement

৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই দারুণ কাজ করেছে এই ওষুধ। ১৩০ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন বাড়ি।
ভারত সরকারের আয়ুশ মন্ত্রকের কর্তারা জার্নালটি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন অধ্যাপক কার্তার সিং ধীমান যিনি সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সায়েন্স’-এর ডিজি অধ্যাপক। পশ্চিমবঙ্গের আয়ুর্বেদ পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র এই ব্যাপারে বলেন, বহু প্রাচীনকাল থেকেই জীবাণু নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদের উপকারিতা রয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে নীতি প্রণয়ন করুক চায় আয়ুশ মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমিত সুর ও বিশ্বজিৎ ঘোষের ,তারা জানান মডার্ন মেডিসিনের পাশাপাশি আয়ুর্বেদকেও করোনা-যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে দেওয়া হোক।

Advertisement

Related Articles

Back to top button