অফবিটভাইরাল & ভিডিও

অবিকল মান্না দে’র গলা, ‘আমি যে জলসা ঘরে’ গান গেয়ে ভাইরাল হলেন এক কাঠমিস্ত্রী, দেখুন ভিডিও

×
Advertisement

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে চলেছে প্রতি মুহূর্তে। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে কখনও কাঠের কাজ করতে করতে, কখনও বা নদীর পাড়ে বসে প্রয়াত গায়ক মান্না দে-র বিভিন্ন বিখ্যাত গান গেয়ে চলেছেন। এই ব্যক্তির কন্ঠ অবিকল মান্না দে-র মতো। ভিডিও যত ভাইরাল হয়েছে তত নেটিজেনদের মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে এনার পরিচয় নিয়ে। কিছুদিন আগে জানতে পারা গেছে গায়কের পরিচয়। গায়ক পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। তাঁর নাম আনন্দ রায়। কিছুদিন আগে ‘লোকজ টিভি’ নামে বাংলাদেশের একটি চ চ্যানেলের ইউটিউব ভার্সনে আপলোড করা হয়েছে আনন্দবাবুর গান। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাঁশের কাজ করতে করতে মান্না দে-র বিখ্যাত গান ‘আমি যে জলসাঘরে’ গাইছেন আনন্দবাবু। হাতের কাজের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কন্ঠে গানের প্রতিটি মুরকি সাবলীলভাবে ফুটে উঠছে।

Advertisements
Advertisement

বাংলাদেশের সুপ্ত প্রতিভাদের খুঁজে বার করে তাদের প্রতিভাকে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে তুলে ধরে। তাদের ইউটিউবের প্রতিটি ভিডিও যথেষ্ট ভাইরাল হয়। আনন্দবাবুর বেশ কয়েকটি গান আপলোড করেছে তারা। আনন্দবাবুর অসাধারণ গায়কী মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের।

Advertisements

শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা প্রতিভা একসময় পারিবারিক চাপে ও রোজগারের তাড়নায় লুপ্ত হয়ে যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আনন্দবাবুর ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। বিদেশে মিউজিক নিয়ে পড়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। এমনকি পাশ্চাত্য দেশগুলিতে একটি বিশেষ স্তর অবধি বিনামূল্যে পড়াশোনা ও বিভিন্ন ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ভারতবর্ষ, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মত কিছু দেশে সামাজিক যত্নে? অভাবে হারিয়ে যায় প্রতিভা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় রাজনৈতিক দুর্নীতি যা সমাজের কাঠামোতে আঘাত হানে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আনন্দবাবু, রাণু মন্ডলের মত প্রতিভারা ভাইরাল হলেও তাঁদের স্থায়ীত্ব থাকে না। তাঁরা আবারও হারিয়ে যান গহন অন্ধকারে।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button