বুধবার থেকে কলকাতার জায়গায় জায়গায় লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছে। মূলত শিয়ালদা সাউথ সেকশনে সবথেকে বেশি সমস্যার শুরু হয়েছে। বারুইপুর সোনারপুর মল্লিকপুরের মতো একাধিক স্টেশনে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। পুলিশের উপরে স্থানীয়রা ক্ষোভ উপরে দিচ্ছেন এবং ইটপাটকেল ছোড়েন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা হিংসাত্মক হয়ে উঠলেও করোনার কথা মাথায় রেখে এখনই ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বিক্ষোভের বিষয়টি সামনে আসতেই মমতা বললেন, “প্ররোচনা দেবেন না আমরা তো সব খুলে রেখেছি প্রায়। কিন্তু ট্রেন চললে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বর্তমানে দোকানপাট সব কিছু খোলা রয়েছে। আমরা ভারতের অন্যান্য জায়গার মতো এতটা কড়াকড়ি করিনি। অন্যান্য জায়গায় তো কার্ফু থেকে শুরু করে অনেক কিছুই হয়েছে কিন্তু আমরা গণপরিবহন বন্ধ রেখে বাকি সবকিছু চালু রেখেছি। যদি এই মুহূর্তে আমরা ট্রেন চালিয়ে দিই তাহলে দুনিয়ার লোকের করোনা হয়ে যাবে।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআজকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা গেল এখনই তিনি ট্রেন চালানোর ব্যাপারে কোনো সবুজ সংকেত দিতে চাইছেন না। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ধাপে ধাপে শিথিলতা কমিয়ে করোনার কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এছাড়াও পূর্ব রেলকর্তৃপক্ষ রাজ্যকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানালেও, এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহী নন।
অন্যদিকে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিক দৌলত জানিয়েছেন, ” ট্রেন চালাতে সমস্যা কোথায়? দুদিন ধরে শিয়ালদহ ডিভিশনের যা অবস্থা তাতে আর চলা যাচ্ছে না। “এদিনকার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে রেল কর্তৃপক্ষ শিয়ালদা ডিভিশনের সমস্ত চিত্র তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এখন যখন ট্রেন বন্ধ তখন পূর্ব রেলের বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। তাই কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক কারণেও ট্রেন চালাতে চাইছে পূর্ব রেলওয়ে।