সঙ্গীতজগতের এক বিতর্কিত নাম হল নোবেল। একের পর এক ভুল করেই চলেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল। একটা বিতর্ক শেষ হতে না হতেই নতুন কিছু বিতর্কে হামেশাই জড়িয়ে পড়েন সারেগামাপা খ্যাত এই বাংলাদেশি গায়ক। কখনো গান চুরির অপবাদ আবার কখনো স্ত্রীকে অত্যাচারের অপবাদে একাধিকবার খবরে শিরোনামে এসেছেন নোবেল। সারেগামাপার মাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে নিজের গানের পরিবর্তে এখন এদেশে নানান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন নোবেল।
এপার বাংলার রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’র মঞ্চ থেকে নোবেল জনপ্রিয়তার শিখরে পৌছান তবে এই ভারতকে সম্মান করেননি এই গায়ক নিজেই।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নানান বিতর্কিত মন্তব্য করেছ্রন যা নিয়ে এদেশের মানুষ বিশাল ক্ষিপ্ত এই গায়কের ওপর। ত্রিপুরায় এফআইআরও দায়ের হয়েছিল গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে। এমনকী ভারতে এলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে শোনা গিয়েছিল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবিতর্ক যেন কিছুতেই এই গায়কের পিছু ছাড়তে চাইছেনা। বাংলাদেশের গায়ক মইনুল আহসান নোবেল হঠাৎ করে বললেন তাঁর এবার বাবা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ব্যাস এই কথা বলতেই নানান বিদ্রুপের শিকার হলেন তিনি। নোবেল নিজের ফেসবুক পেজে লিখলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিনীর জন্য দোয়া করবেন।” সোমবার রাতে এই লেখা পোস্ট করেন। তারপর একের পর এক কটুক্তি আসে নোবেলের কাছেম কিন্তু কেন?
নোবলের পোস্টের ‘হয়তো’ শব্দ নিয়ে আপত্তি আছে নেটিজেনদের? হয়তো তিনি এখনো বাবা হচ্ছেন কিনা সেই ব্যপারে শিওর কিনা জানার জন্য? এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বাংলাদেশের এক নোবেলের এক অনুগামী তাঁকেই কটাক্ষ করে লিখেছেন, “ভাই যা করার করেছেন এতদিন এখন বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে ভাল হয়ে যান। যেন এই বাচ্চা নোবেলকে নিয়ে প্রশংসা করতে পারেন। এমনই নানান প্রতিক্রিয়ায় ভরে গিয়েছে নোবেলেন কমেন্ট বক্স। তবে অনেকেই নোবেলের নতুন জার্নির কথা জানতে পেরে প্রশংসা ও করেছেন। মা ও বাচ্চার খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য,কিছুদিন আগে এক বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন নোবেল। আর সেজ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন গায়ক। রক্তাক্ত মুখের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, কিভাবে এই ঘটনা ঘটান। এক বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি এইভাবে গুরুতর আহত হন ত। নোবেলের মাথার মাঝখানে ১২টি সেলাই পড়েছিল। আর বা চোখের উপরে ১৮টি সেলাই দিতে হয়েছিল। তিনি আরো বলেন এই ঘটনার জন্য যদি তাঁর ৩০টি সেলাই পড়ে তাহলেও মনে তৃপ্তি অনুভব করতেন। কারণ সেই বৃদ্ধ এখন নিরাপদ আছেন। এই ঘটনায় নোবেলের কর্মকান্ড শুনে প্রশংসাও করেন।