নিউজপলিটিক্সরাজ্য

গেরুয়া শিবিরে বড় ভাঙ্গন, বিপুল সংখ্যক অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগদান জেলা বিজেপি-সভাপতি সহ ৮ নেতার

আলিপুরদুয়ারের জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তার অনুগামীদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করলেন। যোগদান পর্বে উপস্থিত সুখেন্দু শেখর, ব্রাত্য এবং মুকুল

Advertisement
Advertisement

বিজেপির ক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী ভাঙ্গন অব্যাহত। কিছুদিন আগে মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এ ছাড়াও বহু বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য একাধিক ফন্দিফিকির গ্রহণ করা শুরু করেছেন। তবে এখন গেরুয়া শিবিরের সবথেকে বড় অস্বস্তির কারণ হল বাংলায় বিজেপির সবথেকে শক্তিশালী জায়গা উত্তরবঙ্গে বড়োসড়ো ভাঙ্গন। আজকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এবং তার বহু অনুরাগী। সোমবার তৃণমূল ভবনে শুখেন্দু শেখর রায়, ব্রাত্য বসু, মুকুল রায় এবং আলিপুরদুয়ার তৃনমূলের সভাপতি মুকুল গোস্বামীর উপস্থিতিতে তারা বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন।

Advertisement
Advertisement

তাদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান এর পর শুখেন্দু শেখর রায় বললেন, ” বিজেপির উত্তরবঙ্গের ৮ জন নেতা আমাদের দলে যোগ দেয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে এবং দল মনে করেছে তাদেরকে দলে শামিল করা যেতে পারে।” এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র বারা, সম্পাদক বিনোদ মিঞ্জ, এবং অসীম কুমার লামা। এছাড়া রয়েছেন কুমারগ্রাম ব্লকের সভাপতি নিশান লামা, কালচিনি বিধানসভার আহ্বায়ক কৃপাশংকর জয়সওয়াল, সহ-আহ্বায়ক ঈশ্বর কুমার বিশ্বকর্মা, সহ সভাপতি বিপ্লব সরকার।

Advertisement

তবে বিজেপির এই ভাঙ্গনের অন্যতম কারণ কিন্তু আলিপুরদুয়ার বিজেপির একটি অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জণ বারলা উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলে বেশ কয়েকদিন ধরে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। তার বিরোধিতা করেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছিল। বিজেপি সংসদের বিরোধী পক্ষের এই দলের ত্যাগী নেতা এদিন সাংসদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তৃণমূলে যোগদান করে গঙ্গাপ্রসাদ বললেন, ” উত্তর বঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করেছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের সাংসদ দু বছর হয়ে গেল কোনো কাজ করেননি। বিজেপি উত্তরবঙ্গে অনেক কিছু করতে পারতো কিন্তু কিছু না করে শুধুমাত্র মানুষের ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে রাজনীতি করছে। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে, কিন্তু আলিপুরদুয়ারে ফল এখনো পর্যন্ত ভালো, কিন্তু তবুও সেখানকার সাংসদ এখনো উস্কানি দিয়ে চলেছেন কোন কাজ না করে।”

Advertisement
Advertisement

তিনি আরো বললেন, ” আমার দল ছাড়ার পৃষ্ঠভূমি ভোটের আগে তৈরি হয়ে গেছিলো যখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বে মতামতকে উপেক্ষা করে কলকাতায় এনে যোগদান পর্ব করিয়েছিলেন। জেলার নেতৃত্বকে একবারের জন্য জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি শীর্ষ নেতারা। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু যদি সেই সময় দল ছাড়তাম তাহলে বলতো লোকে যে আমি গদ্দার। তাই সেই সময় আমি থেকে গেলাম, আমার নির্দেশে দল ভালো ফল করল। আলিপুরদুয়ার হল একমাত্র জেলা যেখানে পাঁচটির মধ্যে পাঁচটি আসন বিজেপি জয় করেছে, শাসক দল সেখানে দাঁত পর্যন্ত ফোটাতে পারেনি। তারপর থেকেই আমার মৃদুল তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। তখন থেকেই আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। তারপরে আজকে আমি আমার অনুগামীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করলাম।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button