আজানিয়া, নামটির সঙ্গে সকলে খুব একটা পরিচিত নাও হতে পারেন কিন্তু যদি আমরা বলি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা, তাহলে হয়তো সকলেই চিনতে পারবেন। বাবা অভিষেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল যেদিন, সেদিন মেয়েটাকে দেখা গিয়েছিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে চিন্তিত মুখে মমতার গাড়ি পর্যন্ত আসতে। সেদিন তার মুখের সামনে ছিল একটা বই। মমতার স্নেহের হাত ছিল তার পিঠে। ২রা মে মমতার জয়লাভের পরেই সম্পূর্ণ হলো সেই বৃত্ত যেটা দেখার জন্য উদগ্রীব ছিলেন সবাই। এদিন দেখা গেলো মমতার পাশে সেই ছোট্ট আজানিয়াকে।
কখনো কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে সেই ছোট্ট মেয়েটি, আবার কখনো হাতে দেখাচ্ছে ভিক্টরি সাইন। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, কে মমতার পাশে দাড়ানো এই ছোট্ট একরত্তি মেয়েটা? তখন কেউ ঠাওর করতে পারেননি। তবে আসলে মেয়েটি হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা আজানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার পাশে দাঁড়িয়ে ছোট্ট মেয়েটি আকাশের দিকে তার হাত ছুড়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিল উই হ্যাভ ওয়ন। বিজেপির বিরুদ্ধে বহু কাঙ্খিত সেই জয়ের পরে যখন সারা বাংলা সবুজ আবিরে রাঙ্গানো, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে হয়ত এভাবেই মমতা চিনিয়ে দিয়ে গেলেন নিজের উত্তরাধিকে। মমতার পাশে একই ফ্রেমে দাড়িয়ে ছোট্ট একরত্তি মেয়ে আজানিয়া। মমতা বুঝিয়ে দিলেন বাংলার মেয়েকে আবারো চেয়েছে বাংলা। নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে শুভেন্দু বাবু আনন্দ করতেই পারেন কিন্তু হেস্টিংস কার্যালয় যে একেবারেই মুষরে পড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
উচ্ছসিত মমতা নিজেও। তিনিও তার এইরকম ফলে বেশ আনন্দিত। সঙ্গেই আনন্দিত আজানিয়া। খুশিতে উজ্জ্বল মুখ, ক্যামেরার দিকে ছুড়ে দেওয়া ভিক্টরি সাইন, যেনো পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে জিতে গিয়েছে বাংলা লক্ষ লক্ষ মানুষ। আবারও বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দৃশ্য দেখেই সকলের প্রশ্ন? আজানিয়াই কি হতে চলেছে বাংলার রাজনীতির পরবর্তী অগ্নিকন্যা?